সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ করোনা মহামারি মোকাবলোয় সরকারের কাছে ৯ দফা দাবি পেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজশাহী জেলা শাখা।
রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শাহরিয়ার আমিন বিপুল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম জনি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকাররে কাছে এসব দাবি জানিয়েছেন।
রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরফিুল ইসলাম জনি জানান, র্বতমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সাংবাদিক সম্মলেন করা সম্ভব নয়। তাই দলীয় র্কাযালয়ে সংবাদ সম্মলেন করে তারা দবিগুলো উথাপন করতে না পারায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকাররে কাছে দাবিগুলো তুলে ধরেছেন।
রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শাহরিয়ার আমিন বিপুল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরফিুল ইসলাম জনি বলেন, র্বতমান করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশ ও আজ গভীর সংকটে। দেশের মানুষ প্রতিমূহুর্তে নানান শঙ্কায় পার করছে।
তারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে ছাত্রদলের প্রতিটি ইউনিট জনগণকে সচতেনতা করা, মাস্ক ও সাবান বিতরণ করা, জীবানুনাশক ঔষধ স্প্রে করার পাশাপাশি দিনমজুর ও দরিদ্র পরিবারের পাশে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। রাজশাহী জেলা ছাত্রদলও এসব র্কাযক্রম পরিচালনা করে চলেছে।
তারা বলনে, রাজশাহী জেলা ছাত্রদল মনে করে র্বতমান এই সমস্যায় সবচেয়ে দুরাবস্থায় রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমিক পরিবার এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ।
রাজশাহী জলো ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক র্বতমান সংকটে দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মানবতার সেবায় সবসময় জনগণের সাথে ও পাশে থাকবে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সরকারের কাছে রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের দাবিসমূহ নিম্নরুপ-
১। উচ্চ আয় ও সরকারি চাকরিজীবী এবং স্বচ্ছল পরিবার ব্যতিরেকে সবাইকে বিনামূল্যে রেশন দিতে হবে।
২। লকডাউন চলাকালীন সময়ে মানুষের কাজ নেই। তাই ক্ষতিগ্রস্থ পরবিারকে মাসে নূন্যতম ৪০ কেজি চাল, ২০ কেজি ময়দা ও ৮ কেজি ডাল দিতে হবে ।
৩। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরবিারের তালিকা করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন সহ সকলকে এই কাজে সহযোগিতা করতে হবে।
৪। চাল, ডাল, ময়দা ব্যতীত অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নায্যমূল্যে সরকারি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সরবারহের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। রেশন সামগ্রী নিয়ে কালোবাজারি কিংবা অনিয়ম রোধে প্রশাসনকে কঠোর ভূমকিা পালন করতে হবে।
৬। বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিক সহ সকল প্রকার কলকার খানা শ্রমিক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের মাসিক বেতন যেন বন্ধ না থাকে, সে বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৭। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল ডাক্তার, নার্স সহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সকলকে আস্থায় নিয়ে এসে করোনা চিকিৎসাসহ সকল নাগরিকের চিকিৎসা দেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৮। দেশের চলমান সংকটে শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির যাতে না হয়, সেজন্য দেশের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বের অংশগ্রহণে শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।
৯। ঘোষণার ভাষণ কিংবা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয়, অবিলম্বে র্কাযকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।