সোহানুর রহমান সোহাগ: বর্তমানে বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থার অবনতি। কোনো ভাবেই দর্শক হলমুখী হচ্ছে না কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে চাহিদার কারণে মুক্তির ১০০তম দিনে এসে পৌঁছাল বাপ্পী-অপু বিশ্বাসের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ চলচ্চিত্রটি। গত একশো দিন ধরে সিনেমা হলে চলছে চলচ্চিত্রটি।
চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় এমন দৃশ্য বহুদিন পর খুঁড়িয়ে চলা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি দেখতে পেলো। দৃশ্যটি কেবল আর্থিক সমাগমের নয়, দৃশ্যগত অর্থও ইতিবাচক। আব্দুল্লাহ জহির বাবুর লেখা গল্পে ছবিটি নির্মাণ করেন দেবাশীষ বিশ্বাস।
তার হাত ধরেই ২০০১ সালে রিয়াজ-শাবনূর অভিনীত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবিটি তুমুল ব্যবসা করেছিল। একই নামে ভার্সন টু নিয়ে ফিরেছেন ফিল্মি পরিবারে বেড়ে ওঠা এই পরিচালকের। এই ছবির ১০০তম দিনে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকল চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
ইতিমধ্যেই তিনি ফেসবুক পোস্ট করেছেন।তিনি লিখেন, ‘ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২২! পহেলা ফাল্গুন আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বছরের প্রথম ছবি হিসেবে ২৫ টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছিলো বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত এবং আমার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’! সেই থেকে রোজার মাস শুরুর আগ পর্যন্ত টানা ৭ সপ্তাহ প্রেক্ষাগৃহে চলার পর রোজার মাসের সাময়িক বিরতি! এরপর আবার ঈদুল ফিতর থেকে প্রেক্ষাগৃহে চলা শুরু, যা এখন পর্যন্ত চলমান! সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ২২শে জুন, ২০২২ এই ছবিটির জন্য একটি বিশেষ দিন! বর্তমান সময়ে যেখানে যেকোনো ছবি রিলিজের প্রথম সপ্তাহই সিনেমা হল এ টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, সেখানে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ আপনাদের আশীর্বাদ, দোয়া আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এ বছরের প্রথম ছবি হিসেবে আজ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ১০০ তম দিন পার করছে, যা এই প্রেক্ষাপটে বিরল!’
ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমান ছবির মন্দা অবস্থায় ছবিটি দর্শক ১০০তম দিন পর্যন্ত সাদরে গ্রহণ করেছে এটা সত্যি আনন্দের। সাধুবাদ জানাই এই ছবির সাথে সকল সাংবাদিক, পরিচালক, কলাকুশলিসহ সকল টেকনিশিয়ান ভাইদের প্রতি। বর্তমানে ভালো গল্প নেই, নির্মাতা নেই, কুশলী নেই তখন একই নামে ভার্সন টু অর্থাৎ ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’ প্রমাণ করলো যুতসই গল্প আর সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলে ভালো কিছু দর্শকদের জন্য উপহার দেওয়া সম্ভব।’
‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ ছবিতে পরিচালক প্রতিটি ফ্রেমে ফ্রেমে টুইস্ট রেখেছেন; যা কোনোভাবেই পরবর্তী দৃশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। মানে হচ্ছে দৃশ্যায়নের টেম্পো, ডায়লগ, কাউন্টার ডায়লগ, গানের কথা, গায়কী এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের হারমনোইজেশনের অভূতপূর্ব সম্মিলনে তারকা অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরী, অপু বিশ্বাসের মতো কুশীলবদের কাজ অনেক সহজ করে তোলে। সঙ্গে সাদেক বাচ্চুর মতো শক্তিমান অভিনেতার উপস্থিতি বাণিজ্যিক আলাদা আবহ সৃষ্টি করেছে। প্রয়াত এই অভিনেতার মনকাড়া অভিনয় ভবিষ্যতে দর্শক মিস করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।