আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
একদিকে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমণ অন্যদিকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে লাশের সারি। সড়কগুলো বিক্ষোভে উত্তাল। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সক্রিয় সুযোগ সন্ধানীরা।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডে উত্তপ্ত যুক্তরাজ্য। অন্তত ৪০টি শহরে কারভিউ জারি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে সেনাবাহিনীও নামানো হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটে গত সপ্তাহে। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণহীন হফে পড়ে। এই বিক্ষোভের মধ্যেই ফিলাডেলফিয়া শহরে অ্যাপলের শোরুমে ঘটে লুটের ঘটনা।
পুলিশ হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকা জুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। এর মধ্যে কেউ কেউ সহ্সিংতার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি লুটপাটে জড়িয়েছেন। বেশ কয়েকটি অ্যাপল স্টোর থেকে আইফোন লুট হয়ে গেছে। অ্যাপলের পক্ষ থেকে লুট হওয়া সব আইফোন অকার্যকর করার পাশাপাশি বিশেষ বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো এমন একটি বার্তায় দেখা যায়, লুট হওয়া আইফোনের স্ক্রিনে অ্যাপল লিখেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে।
তবে অ্যাপল স্টোরে লুটের ঘটনা যারাই ঘটাক তারা আসলে বিপাকে পড়েছেন। এখন না পারছেন লুট করা মালামাল ব্যবহার করতে, আবার না পারছেন বিক্রি করতে। অন্যদিকে তাদের অবস্থান ট্রাক করারও ব্যবস্থা করেছে অ্যাপল।
মার্কেটওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, ফিলাডেলফিয়া, পোর্টল্যান্ড এবং ওয়াশিংটন ডিসির স্টোর ভেঙে লুটতরাজ চালানো হয়েছে। এক হাজার ৯৯ ডলার দামের আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্সসহ বিভিন্ন আইফোন নিয়ে গেছেন অনেকেই। কিন্তু এত সহজে বিষয়টিকে যেতে দিচ্ছে না অ্যাপল।
২০১৬ সাল থেকে প্রক্সিমিটি সফট্ওয়্যার নিয়ে কাজ করছে অ্যাপল যাতে অ্যাপল স্টোরের বাইরে যেকোনো ডেমো ডিভাইস অকার্যকর ও ট্র্যাক করা যায়।
করোনাভাইরাস মহামারির পর অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ স্টোর খুলেছে। তবে চলতি সপ্তাহে কিছু এলাকায় লুট শুরু হলে আবার তা বন্ধ করা হয়।
বিভিন্ন স্টোর থেকে যেসব ডিভাইস লুট করা হয়েছে তা অ্যাপলের আইক্লাউড থেকে লক করে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। এই লক খোলার কোনো প্রযুক্তি অ্যাপল কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারো কাছে নেই।