প্রত্যয় ডেস্ক: ভারতের কেরালা রাজ্যে গর্ভবতী হাতি হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার এবং আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বন মন্ত্রী কে. রাজু। এই ঘটনায় গঠিত পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ তদন্ত দল শুক্রবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এতে আরও কয়েক জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২৭ মে কেরালার একটি ন্যাশনাল পার্ক থেকে দলছুট হয়ে গর্ভবতী হাতিটি পালাক্কাড জেলার একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে। গ্রামের এক নদীতে হাতিটির মৃত্যুর পর জানা যায়, বিস্ফোরকভর্তি আনারস খাওয়ার পর আর কোনও খাবার গ্রহণ করতে না পেরে এটির মৃত্যু হয়। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে দেখা যায়, মুখে ক্ষত হওয়ায় হাতিটি বেশ কয়েক দিন ধরে কিছু খেতে পারেনি। এই ঘটনায় তুমুল সমালোচনা শুরু হলে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ি ভিজায়ন জানান, জড়িত তিন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজ্যের বন মন্ত্রীকে রাজু বলেন, বন বিভাগ ঘটনা তদন্তে তিনটি দল নিয়োগ দিয়েছে। পুলিশও বিষয়টি তদন্ত করছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বন্য শূকর ও অন্য প্রাণীদের হাত থেকে ফসল রক্ষায় ওই এলাকার বাসিন্দারা বিস্ফোরকভর্তি খাবার বাইরে ফেলে রাখে।
হাতিটির মৃত্যুর পর এটি রাজনৈতিক বিতর্কে মোড় নেয়। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি দলীয় মন্ত্রী এবং সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনায় স্থানীয় মুসলমানদের দায়ী করতে শুরু করেন। পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ি ভিজায়ন জানান, এই ঘটনাকে পুঁজি করে ঘৃণাবাদী প্রচার চালানো হচ্ছে। এক টুইটার পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ভুল বর্ণনা আর অর্ধসত্য দিয়ে সত্যকে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ কেউ এই ঘটনায় ধর্মান্ধতাও টেনে আনছে।’