দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ আগামী অর্থবছরের বাজেট হতে হবে জনকল্যাণমুখী। কঠোরভাবে নজর রাখতে হবে প্রকল্পের অপচয় ও দুর্নীতির বিষয়ে। বরাবরের মতো বাজেট বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে রাজস্ব আদায়। এমন মত বিশ্লেষকদের। তবে প্রকল্পের অপচয়, দুর্নীতি রোধে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের সরঞ্জাম নিয়ে দুর্নীতির খবর গত বছর সংবাদের শিরোনাম হয়। করোনাকালেও স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটায় প্রকল্পের অনিয়ম পিছু ছাড়েনি। এছাড়া শেষ কয়েক বছরে রূপপুর বিদ্যৎকেন্দ্র প্রকল্পে বালিশকান্ড কিংবা পর্দা কেলেংকারীর খবর অজানা নয়। প্রকল্পের এমন অপচয়, দুর্নীতির খবর মাঝেমধ্যে হয়ে ওঠে টক অফ দ্য কান্ট্রি।
এমন বাস্তবতায় করোনার এই সংকটের মধ্যেই ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে সরকার। ৮ দশমিক ২ শতাংশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরেই বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৫ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। এরই মধ্যে ১ হাজার ৫৮টি প্রকল্পের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগের বছরের চেয়ে প্রকল্প কমানো হয়েছে ৫০৬টি। প্রকল্প সংখ্যা কমলেও বরাদ্দ বেড়েছে।
টিআইবি বলছে, বাজেটের সুফল জনগণকে দিতে হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকতে হবে আপোসহীন। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাজেট হতে হবে সত্যিকার অর্থেই জনকল্যাণমুখী। এদিকে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকল্পের অনিয়ম রোধে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন কোন প্রতিষ্ঠানকে তদারকির দায়িত্ব দিলে অপচয় কমবে। অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কিভাবে সরকার যেতে পারে তার জন্যে একটা কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, অর্থব্যয়ে আরো সতর্ক থাকবে সরকার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বালিশ কাণ্ডের ঘটনা আমাদেরকেও আঘাত করেছে। আমরা শক্ত হচ্ছি। এর ফলে আমরা এমন ঘটনা আটকাতে পারছি।
করোনা সংকটের মধ্যে রাজস্ব আহরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে নতুন বাজেট কতটা জনকল্যাণমুখী হবে তা নির্ভর করছে বরাদ্দ ও বাস্তবায়নের সমন্বয়ের ওপর।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন