নিজস্ব প্রতিবেদক: বাসাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে মারধর করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিয়ান আব্দুল্লা অনিক।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইলের বাসাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাসাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের দাওয়াত কার্ডে নাম না দেয়া অনুষ্ঠান চলাকালে ২০-২৫টি মটর সাইকেল নিয়ে শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় অনিক। এ সময় উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বাবু সরকার সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুইজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ঘটনায় ভুক্তভোগী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান বাবু বলেন, ‘আমাদের স্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলছিলো। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৩০-৩৫জন সম্মানিত ও গণ্যমান্য অতিথি এবং শিক্ষখ-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসীসহ ৭০০-৮০০ মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন একজন আমাকে খবর দেয় অনিক এসেছে। তখন সরল মনে আমি তাকে অতিথি মঞ্চে নিয়ে আসতে যায়। তার কাছে যেতেই সে ও তার সাথে থাকা ১০-১৫ জন আমাকে কিল, ঘুষি লাথি দেওয়া শুরু করে। এতে আমি শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনিকের সাথে আমার কোনো পূর্বশত্রুতা নেই। কি কারণে আমাকে সবার সামনে মারা হলো তাও আমি জানি না। এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটা অনুষ্ঠানেও যদি বাঁধার মুখে পড়তে হয়, সমাজ কোন জায়গায় যেয়ে পৌঁছেবে। আকস্মিক হামলায় শিক্ষার্থীরা ভীতিগ্রস্ত হয়ে পরে, শিক্ষার্থীসহ ১০-১৫জন আহত হয় এসময়। পরে অনুষ্ঠান বাকি রেখে শুধু পুরষ্কার দিয়ে শেষ করে দিই আমরা।’
ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিয়ান আবদুল্লাহ অনিকের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। সেখানে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তখন একটা হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি এবং পুলিশকে বিষয়টা জানাই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়।’