দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের লকডাউনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আড়াই মাস যাবত খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি বন্ধ থাকায় বিকল্প মাধ্যম হিসেবে রেলপথে বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সরকারেরও রাজস্ব আয় বেড়েছে।
গত ১২ দিনে বেনাপোল রেলপথে ভারত থেকে ৩৫টি চালানে ২৭ লাখ ৫ হাজার ৯০৬ ডলার মূল্যের ২০ হাজার মেট্রিকটন কাঁচামাল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য আমদানি করা হয়েছে। এসব পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি রেল বিভাগেরও ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫০৭ টাকা রাজস্ব এসেছে।
আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, জিরা, শুকনা মরিচ ও ধান বীজ।
কাঁচামাল আমদানিকারকদের প্রতিনিধি বাদশা জানান, এসব পণ্য করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে ভারতে আটকা পড়েছিল। এতে কোটি টাকা লোকশান গুণতে হয়েছে তাদের। পরে তারা কাস্টমসের পরামর্শে আবেদন জানালে রেলপথে আমদানিতে অনুমতি পায়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা নঈম মীরন জানান, বর্তমানে করোনা ভাইরাসরের কারণে স্থলপথে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ আছে। বিশেষ অনুমতিতে রেলপথে এখন এসব কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পণ্য খালাস করে নিতে পারেন জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, এর আগে রেলপথে কাঁচামাল আমদানি হতো না। এখন রেলপথে এসব পণ্যের আমদানি শুরু হওয়ায় রেলের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে।
এর আগে ভারত সরকারের লকডাউনের ঘোষণায় গত ২৬ মার্চ থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরতীতে লকডাউন শিথিল হলে স্থলপথের বিকল্প মাধ্যম হিসাবে ৩০ মে থেকে রেলপথে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়। ব্যবসায়ীদের সুবিধায় বর্তমানে সপ্তাহে ৭দিন ২৪ ঘণ্টা বেনাপোল বন্দরে পণ্য ছাড় করণের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন