নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১৪ এপ্রিল তারিখে এজাহারনামীয় আসামি লিয়ন (২০) করিমগঞ্জ থানাধীন সাদকখালী চৌরাস্তা বাজারে শরীফ (২৮) এর মালিকানাধীন আলী বাবা স্টোর হতে কিছু মালামাল ক্রয় করে বাড়ি ফেরার সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খুঁজে না পেয়ে আলী বাবা স্টোরে গিয়ে ভিকটিম শরীফ (২৮)কে মোবাইলের কথা জিজ্ঞাসা করেন। এতে লিয়ন (২০), রিয়াদ (১৯) ও রাসেল (২৮)দের সঙ্গে ভিকটিম শরীফের কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনার জের ধরে গত ১৬ এপ্রিল রাত অনুমান ০৯.১৫ ঘটিকায় লিয়ন (২০) অন্যান্য এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগিতায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে এবং অতর্কিতভাবে আলী বাবা স্টোরে প্রবেশ করে ভিকটিম শরীফকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারীভাবে ছোরা-চাকু দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দৌড়ে পালিয়ে যান। এমতাবস্থায় ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীফকে পরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন৷ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের নির্দেশে ঘটনার পর পরই করিমগঞ্জ থানা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে৷ সোমবার ১৭ এপ্রিল বিকেলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত সম্পন্নসহ ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিতের নির্দেশ দেন৷ সোমবার ১৭ এপ্রিল শরিফের বাবা মোঃ আলী আকবর বাদী হয়ে নয় জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন ঘটনার পর থেকে চলমান অভিযানে সোমবার তারিখে এজাহারনামীয় ৯ জন আসামীর মধ্যে ৫ জনকে করিমগঞ্জ ও সদর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন ১। বকুল (৫৫), ২। সোহেল (৫০), ৩। হেলিম (২৫), ৪। সুলতানা (৪০) ও ৫। ফিরুজা (৪৮)।