নিজস্ব প্রতিবেদক: লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মিজদাহ শহরে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মানবপাচার আইনের মামলায় দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুনরায় ফের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপরদিকে একই থানার আরেক মামলায় এক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এএম গফফারুল আলম আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাদশা ফকিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করেন। এ সময় তিনি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এছাড়া পল্টন থানার অপর এক মামলায় আসামি লেকু শেখের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষেও হাজির করেন মামলার আরেক তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবুল বাশার মিয়া। এ সময় তিনি মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ৮ জুন আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১২ জন আহত হন। বাংলাদেশি একটি দালাল চক্র ইউরোপ নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের লিবিয়া পাঠায়। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তাদের ইতালি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লিবিয়াতে স্থানীয় পাচারকারীদের একটি চক্র তাদের আটকে মারধর করে মুক্তিপণ দাবি করে। এ নিয়ে মানবপাচারকারীদের সঙ্গে অভিবাসীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন পাচারকারীর মৃত্যু হয়। এরপর ক্ষোভে নির্বিচারে গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ৩৮ জনকে আসামি করে গত ২ জুন রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করে সিআইডি। এরপর আরও বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা দায়ের করা হয়।