স্পোর্টস ডেস্ক: অ্যাশেজের আগে পুরোদমে আলোচনায় ছিল ইংল্যান্ডের বাজবল। নতুন ধারার এই কৌশলে ধরাশায়ী বিশ্বের বাঘা বাঘা সব প্রতিপক্ষ। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে হোঁচটই খেয়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং বেন স্টোকস জুটির এই বাজবল। সমালোচনার স্রোত বইছে চারপাশে। তবে তাতে বিচলিত নয় ইংল্যান্ড। এজবাস্টনে হারলেও সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্যে আরও বেশি আগ্রাসী ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইংলিশদের অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন।
প্রথম টেস্টের পাঁচ দিন সমানতালে লড়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। পঞ্চম ও শেষ দিনের শেষ সেশনে নাটকীয়ভাবে ২ উইকেটে টেস্টটি জিতে নেয় অজিরা। হাতে উইকেট থাকা সত্ত্বেও টেস্টের প্রথম দিন অধিনায়ক স্টোকস আগেভাগে ইনিংস ঘোষণার করলে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ নীতি সমালোচনার মুখে পড়ে। এরপর ম্যাচ হারের পর সমালোচনা আরও বাড়ে।
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন পরামর্শ দিয়েছেন, জয়ের দিকে তাকিয়ে আরেকটু সাবধানী ও স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে। কিংবদন্তি ক্রিকেটার জেফ বয়কট সরাসরিই বলেছেন, বিনোদনদায়ী ক্রিকেটে বুঁদ হয়ে জয়ের ভাবনাই ভুলে গেছে এই দল। কিন্তু স্টোকস ও প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে পুরোপুরি সমর্থন করছে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। কদিন আগে সাবেক অধিনায়ক জো রুট জানান, আবারও যদি সুযোগ পান তাহলে অধিনায়ক হিসেবে নিজের যুগে আক্রমণাত্মক পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
এবার অ্যান্ডারসন জানালেন, সিরিজে সমতা আনতে হলে আরও ইতিবাচক, আক্রমণাত্মক এবং বিনোদনমূলক ক্রিকেট খেলতে হবে। প্রথম টেস্টে মাত্র ১ উইকেট শিকার করা ৪০ বছর বয়সী এই পেসার বলেন, ‘এজবাস্টনের মত প্রতিদিন মানুষ যেন খুশি হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে আমরা সেটা চেস্টা করবো এবং নিশ্চিত করতে চাই।’
লন্ডনে একটি বেসবল ম্যাচে উপস্থিত থেকে অ্যান্ডারসন আরও বলেন, ‘আমরা ১-০তে পিছিয়ে আছি তাই বলে, আমরা আলাদা কিছু করার চেষ্টা করবো আমি এমনটা মনে করি না। আমার মনে হয় আমরা গত সপ্তাহে যথেষ্ট ভালো করেছি। এভাবে খেলতে পারলে এবং সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে আমরা পরের চার ম্যাচ জিততে পারি। আমাদের খেলার ধরনে কোনো পরিবর্তন হবে না।’ উল্লেখ্য, আগামী ২৮ জুন অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে।