দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গণহারে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো ভারতে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৬৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৯৫ জন।
এমন পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গল ও বুধবার রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে বৈঠকে মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনার কোন আভাস পাওয়া যায়নি।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জনবহুল দেশ ভারত। করোনা ভাইরাসের থাবায় টালমাটাল ভারতবাসী। দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা জনজীবন যখন কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টায়, তখন প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেশটিতে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মৃত্যুর নিরিখে অষ্টম আর সংক্রমণের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত।
এমন সংকট থেকে উত্তরণে রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্র শাসিত এলাকার গভর্নরদের সঙ্গে মঙ্গল (১৬ জুন) ও বুধবার (১৭ জুন) ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার ২১টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বুধবার বাকিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তবে, বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না থাকায় চলছে বিতর্ক।
এদিকে, ব্যবহৃত মাস্ক কিংবা হেড-শিল্ড থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছে কলকাতা সিটি কর্পোরেশন। এজন্য কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হলুদ রঙের বাসকেট বসানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, হলুদ রঙের বাসকেট সবখানে বসানো হবে। কিছু গাড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এদিকে, ভারতে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তা মোকাবিলায় সরকারকে আবারও কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এমনটা মনে করছেন অনেকে।তারা বলেন, কখনো লকডাউন দিচ্ছে আবারো কখনও তুলে নিচ্ছে। অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। এখন আবার লকডাউন দিলে বিপদ হয়ে যাবে।
ভারতে কোভিড নাইন্টিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে নয় হাজারের বেশি।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন