তাড়াইল থেকে, ফাইজুল ইসলাম: কিশোরগঞ্জ তাড়াইল করিমগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক শুরু করছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার গোলাম কবীর ভূইয়া।

তাড়াইল করিমগঞ্জের প্রথম উঠান বৈঠক শুরু করেছেন । গতকাল তাড়াইল উপজেলাধীন বেলংকা বাজারে গ্রামের শত শত সাধারন নানান শ্রেনী পেশা মানুষ নিয়ে উঠান বৈঠক করেন এতে আরো অংশগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মিরা ।

এক সময় গ্রাম-গঞ্জ, পাড়া-মহল্লার বাড়ির উঠানে জারি-সারি-ভাটিয়ালি কিংবা বাউল গানের আসর বসত। মধ্যরাত পর্যন্ত চলত সে আসর। কৃষক, কামার-কুমারসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নিত। সমাজের নানা জনহিতকর কাজের জন্য এলাকার মাতবররা তরুণদের নিয়ে উঠান বৈঠক করতেন। সময়ের বিবর্তন এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেসব দৃশ্য এখন তেমন চোখে পড়ে না। তবে হ্যাঁ, উঠান বৈঠক সম্পর্কে মানুষের ধারণায় আরও ব্যাপকতা এসেছে। রূপ পাল্টে সেই উঠান বৈঠক এখন আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে রক্তস্নাত বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। আওয়ামী লীগ সরকারের সেই উন্নয়নমূলক কাজ সরাসরি তৃণমূলের কাছে তুলে ধরতে এই উঠান বৈঠক একটি শক্তিশালী মাধ্যম। যদিও সরকারের কাজগুলো বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন ব্যারিস্টার গোলাম কবীর ভূইয়া ।

বর্তমান সময়ে জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক সব কাজ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে আমিই প্রথম এই উঠান বৈঠক শুরু করেছি। জনগণের সঙ্গে হৃদয়তা বাড়ানো, জবাবদিহির সুযোগ তৈরি করে দেওয়া; সমস্যা, সম্ভাবনা ও উন্নয়নের কথা সরাসরি বলার জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো মাধ্যম নেই। বাঙালির আস্থা ও ভরসার একমাত্র ঠিকানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেই এই উঠান বৈঠকের ধারণা পেয়েছি প্রথম। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রম বিষয়ক কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক হয়েছি ।

এই সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার পরপরই গণভবন সহ ভিবিন্ন সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটা ধারণা সেদিন প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন তার বক্তব্যে। বলেছিলেন উঠান বৈঠকের কথা। মাতৃতুল্য জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ফিরে আসি এলাকায়। এর পর থেকেই তাড়াইল করিমগন্জে পাড়া-মহল্লায় শুরু করি উঠান বৈঠক।
এলাকার মানুষকে একত্রিত করে একের পর এক উঠান বৈঠক করি। নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ নানা পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন প্রতিটি উঠান বৈঠকে।

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই চালু করে দুস্থ নারী ও বিধবা ভাতা, চিকিৎসাসেবার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে শুরু করেন পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন কাজ। সরকার গঠন করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তিতে এবার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়। শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে নজির স্থাপন করেন ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে। তিনি দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মতো অসংখ্য অসম্ভব কাজ সম্ভব করেছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের কি করেছে তা আপনারা ভাল করেই জানেন ।

আওয়ামীলীগ কি করেছে ওইসব কাজের কথা মানুষকে জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সরাসরি জনগণের কাছে এসব উন্নয়নের কথা তুলে ধরার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো উঠান বৈঠক। দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা উদ্যোগী হয়ে নিজ নিজ এলাকায় উঠান বৈঠক করে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।