ওয়েব ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরের উত্তর আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়া কেএম হাশেম টাওয়ার এলাকায় নালায় তলিয়ে নিখোঁজ শিশুর খোঁজ মেলেনি। রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়েও ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ভুক্তভোগী শিশুকে উদ্ধার করতে পারেনি। এরপর ফায়ার সার্ভিসের অভিযান স্থগিত করা হয়।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, নালায় তলিয়ে যাওয়া শিশুকে উদ্ধারে আগ্রাবাদ থেকে একটি ডুবুরি টিম পাঠানো হয়। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিশেষ রেসকিউ টিম। দুটি টিম মিলে প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায়ও ওই শিশুর খোঁজ মেলেনি। আপাতত আজকের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) আবার প্রয়োজনে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নালায় তলিয়ে নিখোঁজ হওয়া ১৮ মাস বয়সী ওই শিশুর নাম ইয়াছিন আরাফাত। তার বাবার নাম সাদ্দাম হোসেন। বাসার পাশেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) একটি খোলা নালায় শিশুটি তলিয়ে যায়।
এর আগে, ২০২১ সালের ৩০ জুন নগরের ২ নম্বর গেট এলাকার চশমা খালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পড়ে গিয়ে দুজন নিহত হন। তারা হলেন– অটোরিকশাচালক সুলতান ও যাত্রী খালেদা আক্তার। এরপর একই বছরের ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুর মোড়ে নালায় তলিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন সালেহ আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ী। ঘটনার পর টানা কয়েকদিন অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করতে না পারায় একপর্যায়ে তৎপরতা বন্ধ করে দেয় ফায়ার সার্ভিস। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তার মরদেহ পাওয়া যায়নি।
এছাড়া একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় ১৯ বছর বয়সী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া নালায় তলিয়ে যান। তিনি চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। নিখোঁজের দিন রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে একের পর এক নালায় তলিয়ে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনেরা। সুশাসনের জন্য নাগরিক চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লুটপাটে ব্যস্ত। বাস্তবে কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। উল্টো উন্নয়নের ফাঁদে পড়ে সাধারণ লোকজন একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে।