বিনোদন প্রতিবেদক: দেশীয় টেলিভিশন মিডিয়ার প্রিয়মুখ মডেল – অভিনেত্রী ফারজানা সুমি। বেশ লম্বা একটা সময় ধরে মঞ্চ ও টিভি নাটকে অভিনয় এবং বিজ্ঞাপনচিত্র – গানচিত্রে মডেলিং করে নিজেকে পরিণত করেছেন তিনি। শোবিজ মিডিয়ায় কাজের ক্ষেত্রে সিরাজগঞ্জের মেয়ে ফারজানা সুমি’র লক্ষ্য ছিল – বিনোদনের সবচাইতে বড় মাধ্যম চলচ্চিত্রে নিজের মেধা – প্রতিভার বিকাশ ঘটানো। ভালো সুযোগের প্রতীক্ষায় থাকা ফারজানা সুমি’র লক্ষ্য ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন হয়েছে। নিজ কর্মদক্ষতার মাধ্যমে অভিনয় জগতে সাড়া জাগানিয়া এই সুন্দরী মডেল – অভিনেত্রী সুমি’র দেশীয় চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করার পর এবার নায়িকা হিসেবে অভিষেকের পালা। সুন্দরী এই গ্ল্যামার গার্ল যুগল নির্মাতা অপূর্ব রানা’র পরিচালনায় নির্মিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘জলরঙ’ এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন সুরমা চরিত্রে। সুমি জানান, ৫ সেপ্টেম্বর ‘জলরঙ’ ছবিটি সেন্সর সার্টিফিকেট লাভ করেছে। খুব শীঘ্রি এটি প্রেক্ষাগৃহে আসছে।
মঞ্চ নাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করা ফারজানা সুমি মঞ্চের গণ্ডি পেরিয়ে টেলিভিশন নাটক হয়ে এখন নিজের স্বপ্নের মাধ্যমের বাসিন্দা। তবে নাটকে অভিনয় ও বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিংয়ের বাইরে সুন্দরী ললনা ফারজানা সুমি’র চলচ্চিত্রে অভিনয় করাটা ছিল অনেকটাই স্বপ্নের মতো। প্রথমেই তিনি সরকারি অনুদানে অপূর্ব রানার মতো গুণী পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পান। অপূর্ব রানার পরিচালনায় তিনি ‘জলরঙ’ ছবির গল্পের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। জীবনমুখী এই ছবিতে সুমি’র নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশির সরদার। এই জুটি ছাড়া জলরঙ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক, উষ্ণ, শিশির সরদার, শহীদুজ্জামান সেলিম, মাসুম আজিজ, রাশেদা চৌধুরী, খালেদা আক্তার কল্পনা, জয়রাজ, রাশেদ মামুন অপু, আশীষ খন্দকার, সীমান্ত, শরীফ চৌধুরী প্রমুখ। ছবিটির কাহিনী লিখেছেন এনামুল হক, চিত্রগ্রহণে আসাদুজ্জামান মজনু, মেকআপ জামাল। ড্রাগন ফিল্মসের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছেন দেলোয়ার হোসেন দিলু।
ফারজানা সুমি জানান, জলরঙ এর পর গুণী ও কুশলী নির্মাতা উত্তম আকাশের পরিচালনায় নির্মিতব্য ‘মৃত সৈনিক’ নামের একটি ছবিতে অভিনয়ের কথা চূড়ান্ত হয়েছে। অন্যদিকে মিজানুর রহমান লাবুর পরিচালনায় ‘আতরবিবি’ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করার কথা রয়েছে। জলরঙ ছবিতে নিজের চরিত্র নিয়ে সুমি বলেন, জলপথে মানব পাচারের মতো মর্মন্তুদ ঘটনা অবলম্বনে এই ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে। এখানে সুরমা নামের চরিত্রটি অসাধারণ একটি চরিত্র। সুরমাকে ঘিরেই জলরঙ ছবির কাহিনী বিস্তৃত হয়েছে। ছবির কেন্দ্রীয় এই অসাধারণ চরিত্রটি আমি মন দিয়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। কতটা সফল হয়েছি, সেটা ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকরা ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার বিশ্বাস – পর্দার সুরমাকে দর্শকরা অনেক দিন মনে রাখবেন।
ফারজানা সুমি আরও বলেন, প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করতে পারার সুযোগ একজন অভিনয় শিল্পীর কাছে বড় পাওয়া। একজন ভালো অভিনেত্রী হওয়ার যে স্বপ্ন আমার, আমি মনে করি – সুরমা চরিত্রের মাধ্যমে সেটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। আর ভালো অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই আমি সেই ছোট্টবেলা থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি।
মডেল – অভিনেত্রী ফারজানা সুমি আরও বলেন, ‘জলরঙ’ ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়ায় আমি পরিচালক অপূর্ব রানার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। এই ছবিতে পরিচালকের কাঙ্ক্ষিত সুরমা হওয়ার জন্যে আমি নিজের সর্বোচ্চ মেধা – প্রতিভা দিয়ে চেষ্টা করেছি। নির্মাতা আমার ওপর যে বিশ্বাস রেখেছিলেন, সেটা আমি রক্ষা করতে চেষ্টা করেছি। বাকিটা আপনারা আমাকে পর্দায় দেখলে বুঝতে পারবেন সুরমা চরিত্রে আমি কতটা সফল।