নিজস্ব প্রতিবেদক: রাঙামাটিতে দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন দায়েরকৃত অভিযোগের অগ্রগতি জানতে সমন্বিত কার্যালয়ে গেলে রাঙামাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক মো জাহিদ কালামের বিরুদ্ধে সেবা প্রার্থীর সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ, হুমকি ভয়ভীতির অভিযোগ করেছেন দয়াল কুমার চাকমা নামের বরকলের এক বাসিন্দা।
এদিকের দুদকের রাঙামাটিস্থ সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো: জাহিদ কামাল বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, তিনি আমাকে প্রেসার দিতে পারে না। ২৮ আগষ্ট ২০২৩ ইং আমি কোন অসৈাজন্য আচরণ করেনি। রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের বর্তমান সাবেক প্রকৌশলীসহ ইউপি চেয়ারম্যান মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯বৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্য্যলয়ে রাঙ্গামাটি এর সহকারী পরিচালক আহমদ ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ৪টি মামলা দায়ের করেন। মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের বাইরে গিয়ে এমন কিছু করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি ।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দয়াল কুমার চাকমা। তিনি বলেন, ২০২০ সালে রাঙামাটি জেলা পরিষদের ২৪টি অস্থিত্ববিহীন ভূয়া প্রকল্প নিয়ে তিনি দুদকে অভিযোগ করেছিলাম। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক ৪টি পৃথক মামলা করে। কিন্তু এ মামলায় আসামীরা দিব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এরা আমাকে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে ও নতুন একটি অভিযোগ দিতে রাঙামাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক মো জাহিদ কালামের কাছে গত ২৮ আগষ্ট যাই। আমার সাথে আরো দু’জন ছিলেন। জাহিদ কামাল আমার সাথে যাওয়া সহপাঠীদের ঢুকতে দেননি। তিনি আমাকে দেখে ক্ষেপে যান। আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বলেন, আমি কেন বার বার দুদকে অভিযোগ দিই? বিভিন্ন আপত্তিজনক কথা বলার পাশাপাশি ভয় ও হুমকি প্রদান করেন। এক পর্যায়ে তিনি তার কার্যালয় থেকে বের করে দেন।
আমি আমার আবেদনের রিসিভ কপি চাইলেও আমাকে দেয়া হয়নি। শত অপমান সহ্য করে আমি রিসিভ কপির জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। এক পর্যায়ে বিকালে আমাকে রিসিভ কপি দেয়া হয়। কিন্তু আমি দুদক কার্যালয় থেকে বের হতে না হতেই এ বিষয়টিও আমার অভিযোগের বিষয়টি অভিযুক্তদের কাছে চলে যায়। এরা আমাকে হুমকি দিতে শুরু করে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মো জাহিদ কালাম বলেন, দয়ালের অভিযোগটি সত্য নয়। আমি তার সাথে কোন খারাপ আচরণ করিনি। তিনি বলেন, মূলতঃ এই মামলাগুলোর তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত করার লক্ষেই এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। দুদকে দায়েরকৃত মামলাগুলো উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সার্বিক তদারিকর মাধ্যমেই পরিচালনা করা হচ্ছে।