সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ভাংচুর, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, পুলিশ হত্যা ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যাসহ সকল অপকর্মের প্রতিবাদে মোংলায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে মোংলা উপজেলা, পৌর আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের উদ্যোগে মোংলা পৌর মার্কেটের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইদ্রীস আলী ইজারাদার।
সসমাবেশে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে।প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে। যারা এদেশের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে রাজপথেই কঠোরভাবে প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ। ভোটের ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান। আর দেশের গণণতন্ত্র, দেশকে সুরক্ষিত ও খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু এই সরকারের সাজানো-গোছানো দেশকে ধ্বংস করতে মরিয়া বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসীরা। তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন থেকে যাবে।
বিএনপি সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে দেশে অরাজকতা করে রক্তের হলিখেলায় মেতে উঠেছে। তাদের হাতে কেউ নিরাপদ নয় মন্তব্য করে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে সকলের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।
শান্তি সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস’র সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, পৌর আ’লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ: রহমান, সাধারণ সমাপাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, পৌর যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আল মামুন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিকদার ইয়াছিন আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক সজীব খাঁন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন রানা ও বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শুরুর আগে বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পৌর এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শান্তি মিছিল বের হয়। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশ স্থলে গিয়ে শেষ হয়।