1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে ব্যাখ্যা প্রচার কুবি উপাচার্যের 

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩৭ Time View

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে গণমাধ্যমে সরকারি অর্থ ব্যয়ে ব্যক্তিগত মন্তব্যের ব্যাখ্যা প্রচারের। ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট দেশের একটি জাতীয় এবং কুমিল্লার একটি আঞ্চলিক দৈনিকের পাশাপাশি ১৪ আগস্ট আরও একটি জাতীয় দৈনিকে ব্যাখ্যা প্রচার করা হয়।

যেখানে তিনটি জাতীয় দৈনিকে উপাচার্যের মন্তব্যের ব্যাখ্যা প্রচারের ব্যয় বাবদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা (ভ্যাট ট্যাক্স সহ) ব্যয় করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি নথি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

২০২৩ সালের ৩১ জুলাই একটি সংবাদ পত্রের অনলাইন পোর্টালে ‘দুর্নীতি হচ্ছে তাই বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে : কুবি উপাচার্য’ শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হয়। সেদিন দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স রুমে মার্কেটিং বিভাগের একটি ব্যাচের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা পরবর্তীতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রচারে এই ব্যয় নির্বাহ করা হয়।

যদিও শুরু থেকেই একটি পাবলিক প্রোগ্রামে উপাচার্যের দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ খরচের এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলের অংশীজনের সাথে কথা হয়। তবে মন্তব্যের ব্যাখ্যা প্রচারে সরকারি অর্থ খরচের বিষয়টিকে স্বেচ্ছাচারী আচরণ এবং দুর্নীতির অংশ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এবং বিভিন্ন মহলের বিশেষজ্ঞগণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপন প্রচারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কিংবা বিধিমালা অনুসরণ করা হয় কি-না জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, সুনির্দিষ্ট কোন বিধিমালা নেই। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি কাজ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো: আবু তাহেরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘সরকারি অর্থ খরচ করে ব্যক্তিগত বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রচারের কোন সুযোগ নেই। এমনকি ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম ব্যবহারেও সুযোগ নেই। উপাচার্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন সেটি তিনি সঠিক বলতে পারবেন।’
এ ঘটনায় উপাচার্যকে মুখোশধারী শিক্ষাবিদ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, তিনি একজন মুখোশধারী শিক্ষাবিদ। মুখে আদর্শের কথা বললেও কার্যক্রমে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত বিধিমালা আছে, কোনটিকে তিনি মানেন না। আবার যখন দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গেয়ে দেয়া বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় তখন ব্যাখ্যা প্রচার করে ব্যক্তিগত দুর্নাম গোছানোর জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ খরচ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং অর্থ সংশ্লিষ্টদের উপাচার্যের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ৩৯ এর উপধারা ১(গ) অনুসারে ‘আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রণীত প্রবিধানে উল্লিখিত ৫.৪(২) অনুচ্ছেদে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে যথার্থতা এবং জবাবদিহিতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইকবাল মানোয়ারের বিষয় নিয়ে উপাচার্যের বক্তব্য প্রচারের জন্য যে অর্থ খরচ করা হয়েছে তার যথার্থতা নিয়েতো প্রশ্ন করাই যায় বরং এর জন্য জবাবদিহিতা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। উপরন্তু, যে উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যে অক্ষুণ্ন রয়েছে তার যথার্থতার মানদণ্ড কী?

পাবলিক প্রোগ্রামে উপাচার্যের ব্যক্তিগত মন্তব্যের ব্যাখ্যা প্রচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মো. আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে এধরণের বক্তব্য প্রচারের ঘটনাকে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বক্তব্য প্রচারের জন্য তিনি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিতে পারতেন। এ ধরনের ব্যক্তিগত অভিমত প্রচারের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যয়ের কোন সুযোগ নেই, যদিও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ব্যক্তি। এটি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং তিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। তাঁকে যে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে কোনোভাবেই সেটির অপব্যবহার করতে পারেন না। কাজেই এখানে দুর্নীতি হয়েছে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকে এমন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

তবে এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আব্দুল মঈনের দপ্তরের পরপর দু-দিন গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..