আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার পর বৈষম্য নিরসন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা কর্মীরা জানিয়েছেন আদালত কেবল একটি দাবী মেনেছে। বাকীগুলোও সরকারকে মানতে হবে।
তারা দৈনিক প্রত্যয়ের প্রতিনিধিকে জানিয়েছে, পুরো দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন চলবে। ফলে আদালত রায় ঘোষনার পরও আন্দোলনকারী রাজপথে ছিলেন। যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরায় বিক্ষোভ চলছে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি করছে বলে আমাদের ঢাকা অফিস জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বৈষম্য বিরোধী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবী আংশিক মেনে নিয়েছে। ১ম ও ২য় শ্রেণীর চাকরিতে কোটা কামনোর কথা বলা হলেও ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর বিষয়ে আদালতে কিছুই বলা হয়নি। এই দুই শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে প্রায় ৯০ শতাংশ কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া। ৫৬ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর কোটা ছাড়াও ৩০ শতাংশ নারী ও ৫ শতাংশ পোষ্য কোটায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা চাকরির সব শ্রেনীতেই কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলন করছে। তারা জানিয়েছেন ১ম ও ২য় শ্রেনীর থেকে ৩য়, ৪র্থ শ্রেনীতে সব থেকে নিয়োগ করা হয়ে থাকে। তাই এই দুই শ্রেনীতেও সংস্কার করতে হবে।
এরা পাশাপাশি আরো জানিয়েছে, আমাদের সহযোদ্ধা ও সহকর্মীদের হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে।