কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে সরকার ফৌজদারি অপরাধ করেছে। এর বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘আইনজীবী সমাজ’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে তারা এসব কথা বলেন। ব্যানারে লেখা ছিল ‘গণহত্যার বিচার চাই, গায়েবি মামলা-গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ করো। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে আজ পর্যন্ত দেখিনি যে একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক দাবির কারণে এতগুলো ছাত্রকে হত্যা করা হয়। কোন অধিকারে, কোন আইনে ব্লকরেইড দিয়ে তাদের (ছাত্রদের) তুলে নেয়া হচ্ছে? আমরা এর ধিক্কার জানাই। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধানকে প্রতি পদে পদে বরখেলাপ করছে সরকার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে হেফাজতে নেয়ার সমালোচনা করে আইনজীবী পান্না বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দিকনির্দেশনা আছে। সেই দিকনির্দেশনা অমান্য করে ৬ জন সমন্বয়কারীকে আটকে রাখা হয়েছে। বিবৃতি দেয়ানো হচ্ছে। এর কৈফিয়ত একদিন দিতে হবে।
কোটা আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, আমরা জানতে চাই, কোথায়, কার হাতে, কতোজন মারা গেছে, আমরা তা জানতে চাই।
এখন হাজারো শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ গণগ্রেপ্তারের মুখে পড়েছেন। শুনেছি, তাদের জামিন দেয়া হচ্ছে না। লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী অনীক আর হক বলেন, আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, গুলি করার পাশাপাশি গণগ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এসব ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আবশ্যকতা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যক্তির সমন্বয়ে জাতীয় গণতন্ত্র কমিটি গঠন করা হয়েছে।