সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী পুঠিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি এখনও সুস্থ আছে জানিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, বাড়িতে রেখেই তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা টিমের প্রধান ডাক্তার আজিজুল হক আজাদ জানান, করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি আর কাদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন, তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
রবিবার (১২ এপ্রিল) নমুনা পরীক্ষার পর পুঠিয়ার ওই ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে বলে নিশ্চিত করেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার ও রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায়, তাকে নিজ বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার বাড়ির সদস্যদেরও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৪৫বছর। গত ৮ এপ্রিল তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। করোনা উপসর্গের মধ্যে তার জ্বর ছিল না। তবে কাশি ছিল। শনিবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর রবিবার বিকেলে তাঁর করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এ নিয়ে রাজশাহীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলো। আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর ৪৩টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজশাহী জেলার মধ্যে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয় পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের বগুড়াপাড়া গ্রামে। এ খবর পেয়েই উপজেলা প্রশাসন রোগীর বাড়ির আশেপাশে ও তার শ্বশুরবাড়িসহ সাতটি স্থানের ৪৩টি পরিবারকে লকডাউন করে দিয়েছেন। এছাড়া দু’টি ওষুধের দোকান, একটি ফিলিং স্টেশনের আশেপাশও লকডাউন করা হয়েছে।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান জানান, জিউপাড়া ইউনিয়নের বগুড়াপাড়ার করোনায় একজন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাত থেকেই ৪৩টি পরিবার লকডাউন করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তা-ঘাটে চলাচল না করতে উপজেলাবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।