বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পার্লামেন্টে বোরকাকে অসম্মান করায় অস্ট্রিলিয়ার উগ্রডানপন্থি নারী সিনেটর পওলিন হানসনকে সাত কর্মদিবসের জন্য বহিষ্কার করেছে দেশটির সিনেট। প্রকাশ্যে বোরকা পরাকে নিষিদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে সংসদে বোরকা পরে আসেন তিনি। যা খুবই দৃষ্টিকটু ছিল।
এরপর দেশটির আইন প্রণেতারাই এ ঘটনার নিন্দা জানান।
এই উগ্রপন্থি সিনেটর প্রকাশ্যে বোরকা নিষিদ্ধ করতে পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে তিনি বোরকা পরে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন। পরে তিনি সেটি খুলে ফেলেন। তার এ কর্মকাণ্ড মুসলিম আইনপ্রণেতাদের জন্য বর্ণবিদ্বেষী হিসেবে সমালোচনা শুরু হয়।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি অং, যিনি সিনেটে মধ্য-ডানপন্থি সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি বলেছেন, “সিনেটর হ্যানসনের বিদ্বেষপূর্ণ লোক দেখানো কাজ আমাদের সমাজের বন্ধনীকে ছিন্নভিন্ন করেছে। আমি বিশ্বাস করি তার এ কাজ (বিশ্বব্যাপী) অস্ট্রেলিয়াকে দুর্বল করেছে। তার এ কাজের জন্য অন্যদের খারাপ পরিণতির মধ্যে পড়তে হবে।”
তিনি আরও বলেছেন, “সিনেটর হ্যানসনের এ কাজ একটি বিশ্বাসকে (ইসলাম) তাচ্ছিল্য ও অপমান করেছে। যে বিশ্বাস পালন করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১০ লাখ মানুষ। পার্লামেন্টে কাউকে এতটা এতটা অসম্মানজনক হতে কাউকে আমরা দেখিনি।”
পার্লামেন্টে বোরকাকে অপমান করা এই নারী সিনেটর তার কাজের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যদি আপনি ব্যাংক বা অন্য কোনো ভেন্যুতে হেলমেট পরেন, এটি যদি আপনাকে খুলে ফেলতে বলা হয়। তাহলে বোরকা কেন ভিন্ন হবে?”
এই মুসলিম বিদ্বেষী বলেছেন, বোরকা নিয়ে তার যে দৃষ্টিভঙ্গি আছে সেটিই তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়া পার্লামেন্টে যেহেতু কোনো ড্রেসকোড নেই। তাই তিনি চাইলেই যে কোনো কিছু পরে এখানে আসতে পারেন।
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের এ সিনেটর ১৯৯০ সালের দিকে প্রথম পরিচিতি পান। তিনি দক্ষিণ এশিয়া থেকে অভিবাসী আসা এবং মুসলিম পোশাক পরিধানের বিরুদ্ধে ছিলেন।
সূত্র: রয়টার্স