অনেক চেষ্টা করেও বিধাতার দান, প্রকৃতির অবদান ঐ ভূবন ভুলানো, হৃদয়কারা মোহনীয় মিষ্টি হাসি আমার দ্বারা পেন্সিলে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হলো না। ওটা এক ঐ বিশ্বকর্মার পক্ষেই সম্ভব। তবে সামান্য লালচে আভা রেখে দিয়েছি আহ্লাদি ঠোঁট দুটোয়,
“রং যেন মোর মর্মে লাগে”, কল্পনার সেই অনাবিল আকাঙ্ক্ষায়।
আঁকতে বসেই পুরোনো স্মৃতির চোরাগলি হাতরে হঠাৎ মনে পরলো জার্মানীর ফ্রাঙ্কফুর্ট অথবা প্যারিসের চার্লস দ্য গ্যোল, কোন এক এয়ারপোর্ট থেকে একই প্লেনে চড়ে ছিলাম একবার। ওই প্রথম, ওই শেষ সামনা সামনি দেখার সৌভাগ্য ওনাকে আমার। যদিও কথা হয়নি। পরিচয়তো পরাহত তবে অনাহূত নন। ১৯৭৮ এর একটা সময় কম বেশি বাড়িতে আসলেও আমার তখন নির্বাসিত জীবন ঢাকার বাইরে।
মাধুরী, ব্রুকশিল্ড অথবা ফীবি কেইটসের জামানার মানুষ হলেও কিংবা আজকের নব্য পরীমনি অথবা ক্যাটরিনারা এরা কেউই আমার মনে দাগ কাটতে পারেননি। এক ঐ সাদা কালো জগতের উনিই, সেই যে স্কুল জীবনে মনের নৌকার সাওঅয়ারী হয়ে চাপলেনতো আর নামলেনই না আজ অব্দি। কত আনা ভাড়া যে আমার বাকি পরলো ইনার কাছে এ যাবত, তার হিসাব আর কোনদিন মনে হয় জীবদদ্শ্যায় করা হয়ে উঠবে না। ও আমার bad debt হয়েই থাকবে। থাকুক না হয়। জীবনের সব ঋন ফেরত পেতে নেইতো।
কারো চিন-পরিচয় জানাশোনা থাকলে একটু ট্যাগ করে দিলে ধন্য হব। তবে সাবধান, ট্যাগ করার অপরাধে উল্টো নিজেই আবার ত্যাগ হয়ে যাবেন না যেন ওনার ফেসবুক থেকে!
অন্তত দেখুক একবার ছবিটা। বলতেতো পারেন না, পরন্ত বিকেলের শেষ আলোয় দর্শকদের কাছ থেকে এমন একটা মনোভাব হয়তো তার প্রাপ্তির খাতায় অন্যমাত্রার একটা ভালো লাগা আনতেও পারে। আজীবন শুধু নেবোই, দেবো না কিছু !
তাচ্ছিল্য করে আজকের যে সমাজটা হিন্দি ছবির জগৎকে আপন করে নিয়েছে যৌক্তিক কারনেই হয়তো, তাদের কিছুটা হলেও বোধদয় হতে পারে যে, অন্তত একটা সময় ছিলো যখন বাংলাদেশের ছবি আর তার কলাকুশলীরাও দাগ কাটতে পারতো অনেকের মনেই। যদিও জাত গেলো, জাত গেলোর ভয়ে স্বীকার করবেন না আজকাল আর সেকথা বেশিরভাগ বদলে যাওয়া মানুষই। “… ব্যাংগলি ফিল্ম, বাংলা ছবি, yaaak, man I don’t even watch them. Who is she” বলেই শ্রাগ করবেন। ভাইরে, জানেন, জানেন, ষোল আনাই জানেন, who she is. আর না জানলে সেটা আপনার দুর্ভাগ্য। To me, you deliberately dumped your own culture and people but what you didn’t realise that inadvertently you doomed yourself as well. আজকে বুঝবো না আমরা। ডিঙ্গি যেদিন পাড়ে ভিড়বে, সব সাওঅয়ারী নেবে পরবে, সেদিন দেখবো আনায়-আনায়, ষোল আনায় ভীষন গড়মিল বেঁধে গ্যাছে।
অর্ধশত বয়স পেরিয়ে এসে নিছক সেই ছেলেবেলা থেকেই রূপালী পর্দার অসমবয়সী কাউকে ভালো লাগাটা প্রকাশ করা যেমন অন্যায় কিংবা অশালীন নয়, তেমনই সেটা কাউকে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত করার আভাষ বা লক্ষনও নয়। যারা সেটা ভাববেন, তাদের গোড়তেই চিন্তা ধারায় গলদ রয়ে গ্যাছে গতানুগতিক অথবা আমার লেখার মর্মার্থ অনুধাবন করতে পারেননি। শুধু শব্দিক অর্থের অনুশীলনই করেছেন।
আমার ধারনা সবারই এমন কেউ না কেউ একজন মনের চিলেকোঠায় থেকে যায় আজীবনই, মহামানব ব্যাতিত। কিন্তু সমাজের আজব সব রীতিনীতি বোধ আর ঘর সংসারের বেরশিক শেকলের বাঁধনের কারনে শত ইচ্ছের পরও সাহস করে প্রকাশ হয়তো কোনদিনই করবেন না। আহ্হা। কি বিচিত্র আনন্দ নিরানন্দের ছন্দহীন তাল লয়ে মেশানো জীবন আমাদের। তারপরও চলছে মানবরুপী দুই চাকার সাইক্যাল সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে ধীর গতিতে।
রাজনীতিবিদ, এক্স পার্লামেন্টেরিয়ান কিংবা আমার ক্যানাডিয়ান স্বদেশী, যে ভাবেই হোক সবার পক্ষ থেকে শুভ কামনা থাকুক বাংলা ছবির এই সফল তারকা, কবরীর জন্যে
লেখক: রিয়াজ রব্বানী,টরেন্টো।