৮ম দিনে সিলেটে ৮৫ জনের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। অর্থাৎ এই ৮৫ জনের মধ্যে লক্ষণ নেই করোনার। এই নিয়ে ৮ দিনে মোট রিপোর্ট আসলো ৫৭১ জনের। এর মধ্যে ২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ হলেও ৫৬৯ জনের রিপোর্ট ছিলো নেগেটিভ।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে (সিওমেক) ৭ এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৮ এপ্রিল থেকে যথারীতি রিপোর্ট আসতে শুরু হয়েছে। ৮ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ৩৯৭ জনের। ১৪ এপ্রিল রিপোর্ট আসে আরো ৮৯ জনের। ফলে ৭ দিনে মোট রিপোর্ট আসলো ৫৭১ জনের।। ১৫ এপ্রিল বুধবার সিলেট প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারি পরিচালক আনিসুর রহমান ।
৮ দিনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ এপ্রিল প্রথমে আসে ৯৪ জনের। যাদের প্রত্যেকের রিপোর্ট ছিলো নেগেটিভ। অর্থাৎ তাদের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন। ৯ এপ্রিল আরো ২৪ জনের একইভাবে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। ১০ এপ্রিল নেগেটিভ রিপোর্ট আসে ৩৫ জনের। ১১ এপ্রিল একইভাবে নেগেটিভ আসে আরো ৪৭ জনের। ১২ এপ্রিল রিপোর্ট আসে ১০৬ জনের। এর মধ্যে ১০৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ১ জনের রিপোর্ট আসে পজেটিভ। পজেটিভ আসা ওই রোগী সুনামগঞ্জের। এবং তিনিই প্রথম সনাক্ত হওয়া সুনামগঞ্জের করোনা রোগী। ১৩ এপ্রিল রিপোর্ট আসে আরো ৯১ জনের। এর মধ্যে ৯০ জনের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ এবং ১ জনের পজেটিভ। কাকতলীয়ভাবে পজেটিভ আসা ওই রোগীও মহিলা এবং একই জেলা সুনামগঞ্জের বাসিন্দা।১৪ এপ্রিল আরো ৮৯ জনের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ এবং সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল নেগেটিভ রিপোর্ট আসে আরো ৮৫ জনের।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে আনিসুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে সন্দেহজনক ৮শ’ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়।তবে শুধু মাত্র রিপোর্ট পজেটিভ হলে আমাদের জানানো হয় এবং নেগেটিভ হলে রিপোর্ট না আমারা ধরে নেই রিপোর্ট হয়েছে নেগেটিভ।
সিলেটে এখন পর্যন্ত পজেটিভ রিপোর্ট আসা দু’জনই মহিলা এবং দুজনের বাড়িই সুনামগঞ্জ জেলায়।
এর আগে সিলেটে এক চিকিৎসকের, হবিগঞ্জে একজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এছাড়া মৌলভীবাজারে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। ঢাকার রোগ তত্ত্ববিভাগে তাদের পরীক্ষা করা হয়েছিল।