1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

সামনে কোরবানি, এরপরও মসলার বাজার মন্দা

  • Update Time : রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০
  • ১৯৫ Time View
সামনে কোরবানি, এরপরও মসলার বাজার মন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সামনে কোরবানি আর এই কোরবানিকে ঘিরে মসলার বাজার চাঙ্গা হওয়ার কথা। কিন্তু মসলার বাজারে মন্দার বাতাস বইছে। প্রচলিত নিয়মে প্রতিবছর কোরবানি আসার অনেক আগে থেকে মসলার বাজার বেশ রমরমা হয়ে ওঠে। কিন্তু এবার করোনার কারণে ঠিক উল্টোদিকে বাতাস বইছে। শুধু তাই নয়, কয়েক বছরের মধ্যে এবার সর্বনিম্নে নেমে এসেছে মসলার দাম।

প্রতিবছর রোজার ঈদের পর গরম মসলার বেচাকেনা পাইকারিতে বেশ জমে ওঠে। সারা দেশের ব্যবসায়ীরা পাইকার থেকে মসলা মজুদ করা শুরু করে। রাজধানী ঢাকা শহর থেকে একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মসলা সংগ্রহের হিড়িক পড়ে যায় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। মৌলভীবাজার, চকবাজার থেকে বড় বড় পাইকার ব্যবসায়ী এবার অনেক আগে থেকে মসলা সংগ্রহ করেন। এর মূল কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, আগে থেকে সংগ্রহ করার মূল উদ্দেশ্যে যেন কোনো চাহিদার টান না পড়ে আর দাম যেন সহনশীল থাকে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বড় বড় আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবারের চিত্র একেবারে পাল্টে গেছে। করোনার কারণে এখন আর আগের মতো এসব পণ্যের অর্ডার দিচ্ছেন না কেউ। কেন দিচ্ছেন না, এ প্রশ্নের জবাবে তাদের উত্তর- এখন হয়তো মানুষের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। তবে কোনো কোনো পণ্যের চাহিদা আগের মতো রয়ে গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আদা। মসলার চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে দামও বেশ কমে গেছে।

গরম মসলার দাম অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ীকে এবার লোকসান গুনতে হবে বলে মনে করছেন। কারণ অনেক আগে থেকে কোরবানিকে ঘিরে অনেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ মসলা মজুদ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে দামে তারা কিনেছেন সেই দামে এখন বিক্রি করতেও পারছেন না। ফলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর লোকসানের ভয়ে অনেকে এই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

দেশের ভোগ্যপণ্যের সব চেয়ে বড় পাইকারি বাজার হচ্ছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। এই খাতুনগঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় শুকনো মরিচ এখন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায় অথচ কিছুদিন আগেও এর দাম ছিল ২৫০ টাকা। তবে দেশীয় শুকনো মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৯০-১০০ টাকায়। দেশীয় আস্ত হলুদের দাম কেজিপ্রতি ১০০-১১০ টাকা। আর ভারতীয় হলুদের দাম ৯০-৯২ টাকা। জিরার দাম কেজিপ্রতি এখন ২৬০ টাকা অথচ কিছুদিন আগেও এর দাম ছিল ৩৬০ টাকা। এলাচ ২ হাজার ৫০০ টাকা। কিছুদিন আগে এর দাম ছিল প্রায় ৩ হাজার ২০০ টাকা। দারুচিনি ২৫০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গোলমরিচের দাম অনেকটা কমে গেছে। এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৮০ টাকায়। লবঙ্গ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এই লবঙ্গের চাহিদা এখন রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পাইকার ব্যবসায়ীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..