দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলার প্রধান ৩টি নদীর মধ্যে ১টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। পানিবন্দি এসব মানুষ উঁচু স্থানে ও বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার প্রধান ৩টি নদীর মধ্যে ১টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টায় দিনাজপুর শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পুনর্ভবা নদীর পানি বর্তমানে ৩২ দশমিক ৭৮০ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। পুনর্ভবা নদীর বিপৎসীমা ৩৩ দশমিক ৫০০ মিটার। জেলার আত্রাই নদীর ৩৯ দশমিক ৬৫০মিটার বিপৎসীমার বিপরীতে বর্তমানে ৩৯ দশমিক ৯৮০ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ছোট যমুনা নদীর ২৯ দশমিক ৯৫০ মিটার বিপৎসীমার বিপরীতে বর্তমানে ২৮ দমশমিক ৯৮০ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।
পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঙ্গীবেচা ব্রিজ এলাকা, বালুয়াডাঙ্গা হঠাৎপাড়া, লালবাগ, রাজাপাড়ার ঘাট, বিরল মাঝাডাঙ্গা, নতুনপাড়ার অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হওয়ার ফলে এই এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি সার্ভেয়ার মাহাবুব আলম জানান, সকালে জেলার আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অন্য ২টি নদী পুনর্ভবা ও ছোট যমুনা বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। উজান থেকে পানি নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে জেলার নদীগুলোর পানি বাড়ছে। দিনের মধ্যে যদি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে নদীগুলোর পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করবে।
এলাকাবাসী নৌ প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন, আমরা আশা করি অতিদ্রুত নৌ-প্রতিমন্ত্রী মহোদয় বন্যার হাত থেকে দিনাজপুরকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য এর আগে গত ২০১৭ সালে সমগ্র দিনাজপুর জেলা বন্যার কবলে পড়ে। কারণ হিসেবে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা ও খাল ভরাটকেই দায়ী করেছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর ৩বছর পার হলেও চোখে পড়ার মতো কার্যকরী কোনো উদ্দ্যোগ নেওয়া হয় নি।