বগুড়ার সংবাদদাতাঃ বগুড়া শহরের রেড জোন চিহ্নিত এলাকা সমুহে একদিকে যেমন ব্যবসা বানিজ্য চলছে আবার কোথাও কোথাও পিকেটিং করে জনগণকে হয়রানি করা হচ্ছে।
বগুড়া শহরের ৯ টি এলাকায় করোনার প্রকোপ বেশি হবার কারনে গত ০৬ জুলাই তারিখে করােনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি ০৬ জুলাই বিকাল ৫.০০ টা হতে পরবর্তী ১৫(পনের) দিন অর্থাৎ ২১ জুলাই বিকাল ০৫.০০টা পর্যন্ত রেড জোনের মেয়াদ বর্ধিত ঘোষণা করেছে। জেলা প্রশাসক জনাব জিয়াউল হক মহোদয়ের সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে বগুড়া পৌরসভার চেলােপাড়া, নাটাইপাড়া, নারুলী, জলেশ্বরীতলা, সুত্রাপুর, মালতিনগর, ঠনঠনিয়া, হাড়িপাড়া ও কলােনী এলাকা রেড জোন হিসেবে ঘােষণা করা হয়।
এসময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ
উক্ত রেড জোন এলাকায় সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবেন। এ্যাম্বুলেন্স, রোগী পরিবহন, স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের(অন ডিউটি) পরিবহন, কোভিড-১৯ মােকাবেলা ও জরুরী পরিষেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি, জরুরী সংবাদকর্মীর গাড়ি এর আওতার বাইরে থাকবে। সকল প্রকার দোকান, মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
কিন্তু বাস্তবে এসব এলাকায় সম্পুর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। এসকল এলাকায় বাশের ব্যারিকেড দিয়ে জরুরী পরিষেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি, জরুরী সংবাদকর্মীর গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না কিন্তু ব্যবসায়িক মালামাল পরিবহনকারী বড় ট্রাক রেডজোন চিহ্নিত পার্করোডে ঢুকতে দেখা যাচ্ছে ও মালামাল লোড আনলোড করা হচ্ছে।
সকল প্রকার দোকান, মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা থাকলেও প্রথম দিকে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গুলো দোকানের সাটার একটু খোলা রেখে ব্যবসা করলেও এখন প্রায় পুরোপুরি খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতেছে।
সবকিছু চললেও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে অফিসগামী ও জরুরী কাজে বের হওয়া মানুষদের। বাশের ব্যারিকেড এর কারনে তাদেরকে অফিসে যেতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ যে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে তা হচ্ছে, আজ ১৬ জুলাই সকালে চেলোপাড়ার সুমন ফ্লাওয়ার মিলের অফিসের সামনে কিছু উৎসুক ছেলেপুলে রিতীমত পিকেটিং শুরু করেছে। নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে কিছু ছেলে লাঠি নিয়ে পথচারীদের উপরে রিতীমত হামলা করতেছে। তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
অফিসগামী সেলিনা আক্তার বলেন যে, উনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। উনাকে প্রতিদিন রেড জোন এলাকার পাশ দিয়ে যেতে হয়। উনার বক্তব্য হচ্ছে যেহেতু এখানে সব বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সবায় গনজমায়েত করতেছে ও সব প্রায় খোলা শুধু শুধু আমাদের রিকশাওয়ালা কে পিটিয়ে কি লাভ। বন্ধ থাকলে সকল কিছুই বন্ধ থাকা উচিৎ।
উনার বক্তব্য হচ্ছে রিকশায় চরে রাস্তা দিয়ে গেলে উনার ভাইরাসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কম কিন্তু এখন হেটে হেটে এসব পাবলিকের জটলার মধ্যে দিয়ে যাবার ফলে উনার করোনায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। তাই উনারা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ জনগন।