ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ সদর থানায় কর্মরত এস. আই মো. গোলাম হাফেজ অসুস্থ্য হয়ে ২দিন পর্যন্ত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ঘুরে সেবা পাওয়া দুরের কথা উপরোন্ত একাধিক স্ট্যাফ তার সাথে খারাপ আচারন এবং তাকে হয়রানি করেন।
গোলাম হাফিজের অভিযোগ, আমি পুলিশ সদস্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ কথা জানতেন। তারপরেও গত দুইদিন হাসপাতালে এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে ছুটা-ছুটির করার এক পর্যায় ১৫/০৭/২০২০ইং তারিখ বুধবার হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাই। আমার স্ত্রী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত স্ট্যাফ ও নার্সদের সাহায্যের জন্যে অনুরোধ জানালে কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে এক অটোচালকের সাহায্য নিয়ে আমাকে ঝালকাঠি থানায় নিয়ে আসেন।
ওসি সাহেব এম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আমাকে পাঠান। কর্তৃব্যরত চিকিৎসক সিয়াম হাসান কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই আমাকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হতে বলেন।
এ সময় আমার সাথে থাকা স্বজনরা বিপি ও পার্লস পরীক্ষার জন্যে ডাক্তারকে অনুরোধ জানান। ডাক্তার সাহেব এতে অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন, এ পরীক্ষা করার জন্যে করোনা ওয়ার্ডে ডাক্তার আছেন তারা করবেন, এটাই নিয়ম। আমার স্ত্রীসহ স্বজনরা হতাশ হয়ে আমাকে বাসায় নিয়ে যান। আমি বর্তমানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি।