নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর বিশ্বের কোনো দেশ থেকে হজযাত্রী নিচ্ছে না সৌদি সরকার। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের পবিত্র হজ পালনের জন্য বিপুল সংখ্যক হজযাত্রী টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছিলেন। বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রীর হজ পালনের কথা ছিল।
করোনার কারণে সৌদি আরব এবার সীমিত পরিসরে হজ আয়োজন করায় সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের নিবন্ধন ফি বাবদ জমাকৃত টাকা ফেরত দিচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন বাতিল করে ব্যাংকে জমাকৃত টাকা ফেরত নিতে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। প্রক্রিয়াগুলো নিম্নরূপ।
ধাপ ১ : আবেদন
নিজে অথবা নিবন্ধনকারীকে হজ এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে। নিবন্ধিত হজযাত্রীর প্রদত্ত অর্থ রিফান্ড ভাউচারে ফেরত দেয়া হবে এবং প্রাক-নিবন্ধনের অর্থ আগের মতো হজ পরিচালকের কাছ থেকে নিতে হবে। শুধু একই ভাউচারে নিবন্ধিত একই পরিবারের হজযাত্রীরা একসঙ্গে আবেদন করতে পারবেন, অন্যথায় পৃথক আবেদন করতে হবে। অর্থ রিফান্ডের ক্ষেত্রে কোনো চার্জ কাটা হবে না। একাধিক ব্যক্তির রিফান্ডের আবেদন একসঙ্গে করা হলে তা যাচাই করার জন্য সময় প্রয়োজন হবে।
ধাপ ২ : সুপারিশ
আবেদন সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি যাচাই করে অনলাইনে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করবে।
ধাপ ৩ : অনুমোদন
রিফান্ডের আবেদন ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুমোদিত হলে হজ পোর্টালে (https://www.hajj.gov.bd/bn/) নিবন্ধন রিফান্ড সেকশন থেকে ‘রিফান্ড ভাউচার’ ডাউনলোড করতে হবে। রিফান্ড আবেদন অনুমোদিত হলে নিবন্ধন ও প্রাক-নিবন্ধন উভয়ই বাতিল হয়ে যাবে। হজে যেতে হলে সম্পূর্ণ নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।
ধাপ ৪ : অর্থ ফেরত
হজ এজেন্সির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার অপশন প্রদান করে থাকলে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ গ্রহণ করতে হবে। অথবা পরিচয়পত্রসহ ডাউনলোডকৃত রিফান্ড ভাউচারটি নিয়ে নিবন্ধনকারী ব্যাংকের নির্বাচিত শাখায় গিয়ে পে-অর্ডার সংগ্রহ করতে হবে বা বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) নিশ্চিত করে নিবন্ধনের অর্থ ট্রান্সফার করতে হবে। বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধনের অর্থছাড়ের জন্য সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি ব্যাংক বরাবর পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং অর্ডার/প্রত্যায়নপত্র প্রদান করবে।