যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষে কথা বলছেন তারা সেই দিন কই ছিলেন…
বাচ্চা মেয়েটির নাম অথৈ। বয়স আড়াই বা তিন। ওর বাড়িও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর। মায়াভরা মুখটি বার বার চোখে ভাসছে তাই না লিখে আর পারলাম না!!
অথৈ মারা গেছে গতকাল। ওর জানাজাও হয়েছে গতকাল সকাল ১১টায়। কিন্তু আজকে একই সময়ের আনসারি হুজুরের জানাজার মত এত লক্ষাধিক আলেম-ওলামা বা ইমামরা আসেননি। করোনা সন্দেহে তার জানাজা পড়াতে রাজি-ই হননি স্থানীয় ইমামরা। পাড়া প্রতিবেশীরাও আসেননি জানাজার নামাজে। এমনকি পুরো গ্রাম বা মসজিদের কেউ রাজি হননি লাশ রাখার জন্য কোন খাটিয়া দিতে। সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে না আসায় চেয়ারম্যান, ইমাম, ডাক্তার, হাসপাতাল সবখানে যোগাযোগ করার পর প্রশাসনিক দাফন কমিটিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়, তারাই লাশ মাটিতে একটা কাপড়ে রেখে জানাজা পরিয়ে দাফন করে আসেন।
অথচ বাচ্চাটির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো ঢাকা থেকে পৌঁছায় নি সংশ্লিষ্ট এলাকায়!!
নিষ্পাপ অথৈ কে মৃত্যুর পর কি উত্তর দিবেন আজকের জানাজার মোসলমানরা!! যাকে আপনারা জানাজা তো দুরের কথা; ছোট্টো একটা খাটিয়া দিতে পারেননি তার আল্লাহ আপনাদের এত বড় জান্নাত বা বেহেশত দেবে কীভাবে ??
কোথায় ছিল আপনাদের মানবতা ? আমরা একনও মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি
সুগৃহিত:https://www.facebook.com/mahabubul.ruvel
মাহবুবুল আলম রুবেলের টাইমলাইন থেকে নেয়া।