1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

কপাল পুড়ল প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০
  • ১৮০ Time View
কপাল পুড়ল প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা এখন থেকে আর বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এটিইও), ইনস্ট্রাক্টর এবং সহকারী ইনস্ট্রাক্টর পদে আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ এ সহকারী শিক্ষকদের এই সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।

বিধিতে বলা হয়েছে, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রার্থী বলতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেও বোঝাবে এবং বিভাগীয় প্রার্থীর প্রধান শিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা যেকোনো স্বীকৃত বিশ^বিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা যেকোনো স্বীকৃত বিশ^বিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। ফলে এখন থেকে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষকরা আর সে পদগুলো নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, এর আগে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ৪৫ বছর পর্যন্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এটিইও), ইনস্ট্রাক্টর এবং সহকারী ইনস্ট্রাক্টর পদের পরীক্ষায় আবেদনের ও অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। নতুন বিধিমালা সহকারী শিক্ষকরা সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন।

এদিকে এ বিধিমালা দেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন, অধিদফতর সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক ও বিমাতাসুলভ আচরণ করছেন।

মহিউদ্দিন নামের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, নতুন বিধিমালা দেখে মনে হচ্ছে অধিদফতর চায় না সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাক। সহকারী শিক্ষকরা তো শুধু পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চাচ্ছেন, নিজেকে প্রমাণের সুযোগ চাচ্ছেন। যদি অংশগ্রহণ করে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে পারেন তাহলে নিয়োগ পাবেন। কিন্তু নতুন বিধিমালা আমাদের সে পথও রুদ্ধ করে দিল। এটা এক ধরনের বৈষম্য।

চম্পা রানী দাশ নামের আরেকজন সহকারী শিক্ষক বলেন, অধিফতরের সব আইন ও বিধি শুধু সহকারী শিক্ষকদের জন্য। কীভাবে সহকারী শিক্ষকদের বঞ্চিত করা যায় তার আরেকটি উদাহরণ এই নতুন বিধি। এটি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ক্ষেপিয়ে তোলার একটি ষড়যন্ত্র।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের দাবি, নতুন বিধি সহকারী শিক্ষকদের জন্য বৈষম্যমূলক ও বিমাতাসুলভ। এই বিধি সংশোধন করে পূর্বের ন্যায় সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ৪৫ বছর প্র্যন্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এটিইও), ইনস্ট্রাক্টর এবং সহকারী ইনস্ট্রাক্টর পদের পরীক্ষায় আবেদনের ও অংশগ্রহণের সুযোগ রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..