প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ২৬৬৮ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
ভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার তাণ্ডব চলছেই। প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন অজানা এই ভাইরাসে। এছাড়া দিনকে দিন মৃত্যুর সারিও লম্বা হচ্ছে। তবে সুস্থতার সংখ্যাও বাড়ছে উল্লেখযোগ্যহারে।
করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট এক কোটি ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৫ জন।
করোনা থেকে সুস্থতার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সবচেয়ে বিপর্যস্ত এই দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৯ জন।
এদিকে রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসা ভারতে মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ২১ হাজার ৬১১ জন।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠছে মানুষ।
করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন