প্রত্যয় স্পোর্টস ডেস্ক: ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের আবহাওয়ার কোনো বিশ্বাস নেই। খুবই রহস্যময়। কখন বৃষ্টি নামে, কখন আবহাওয়া খারাপ হয় তার কোনো ঠিক নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের সময়ও বৃষ্টির কারণে খেলায় বিঘ্ন ঘটেছিল। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হওয়ার পরও বৃষ্টি এসে বাগড়া বসালো।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টস জিতে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৪৩ রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান ইনিংসের হাল ধরেন ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজম এবং ওপেনার শান মাসুদ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে বাবরের আলোতেই উজ্জ্বল সফরকারীরা।
বৃষ্টি আর আলোর স্বল্পতায় দিনের প্রায় অর্ধেক সময়ই খেলা হয়নি। কাটা পড়েছে ৪১ ওভার। খেলতে পারা ৪৯ ওভারে ২ উইকেটে পাকিস্তান করেছে ১৩৯ রান। শুরুটা ইংল্যান্ডের হলেও সময়ের গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খেলা হেলে পড়ে পাকিস্তানের দিকে। বাবরের চমৎকার হাফসেঞ্চুরিতে শেষটাও হয়েছে সফরকারীদের। সময়োপযোগী ব্যাটিংয়ে এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত ৬৯ রানে। আর তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ৪৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছেন ওপেনার শান মাসুদ। তারা অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটিতে।
অথচ টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইংলিশ বোলাররা কী দাপটই না দেখিয়েছেন। অভিজ্ঞ জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল। সতর্ক শুরুতে তাদের প্রতিহত করতে পারলেও জোফরা আর্চারের সামনে আর পারেননি ওপেনার আবিদ আলী। ৩৭ বলে ১৬ রান করে বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া পেসারের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
ওই আঘাত কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার ধাক্কা। রানের খাতা না খুলতেই ক্রিস ওকসের শিকারে পরিণত অধিনায়ক আজহার আলী। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে টেনে তোলেন বাবর ও শান। বৃষ্টির কারণে কয়েক দফা খেলা বন্ধ হলেও ইংলিশ বোলাররা তাদের টলাতে পারেননি। সাবলীল ব্যাটিংয়ে পরিস্থিতির দাবি মিলিয়ে নিজের সঙ্গে দলের রান বাড়িয়ে নিয়েছেন তারা।
তবে স্বাগতিকদের উইকেট সংখ্যা বাড়ানোর দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু উইকেটকিপার জস বাটলারের ভুলে তা হয়নি। তার ‘সৌজন্যে’ শান জীবন পেয়েছেন দুইবার! একবার পাকিস্তানি ওপেনারের ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল গ্লাভসে আটকাতে পারেননি, আরেকবার মিস করেছেন স্টাম্পিং।
বাবর অবশ্য কোনও সুযোগ দেননি। ক্রিকেটের তিন সংস্করণে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান চাপের মধ্যে ৭০ বলে পূরণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি। ইংলিশ বোলারদের শাসন করে চলেছেন তিনি। স্বাগতিক বোলাররা শুরুতে যে দাপট দেখিয়েছেন, বাবরের সামনে এসে সেটা আর টিকতে পারেননি। তার ১০০ বলে খেলা অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ১১ বাউন্ডারির মার সে কথাই বলছে!