প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার তাণ্ডব চলছেই। প্রতিনিয়ত অচেনা এই ভাইরাসটি কেড়ে নিচ্ছে হাজারো প্রাণ। সংক্রমণের তালিকাতেও যোগ হচ্ছে লাখ লাখ মানুষের নাম। তবে উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও।

আরো পড়তে ক্লিক করুনঃ

• গতকালের চেয়ে দেশে সুস্থতা কমেছে
• করোনা আক্রান্তদের পাশে মেসি

করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিছেন ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৭৫১ জন।

করোনায় থেকে সুস্থতার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সবচেয়ে বিপর্যস্ত এই দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪৮ জন।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ লাখ ৪৩ হাজার ১২৪ জন।

অন্যদিকে রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসা ভারতে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৩৮ হাজার ১০১ জন।

চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭৫ জন।

পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ১২৫ জন।

ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে চিলি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪১ জন।

৭ম অবস্থানে রয়েছে পেরু। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫৬ জন।

৮ম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮০০ জন।

৯ম অবস্থানে রয়েছে ইরান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬২০ জন।

১০ম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্থান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ২৪৬ জন।

প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থেকে সুস্থতা বাড়ছে বাংলাদেশেও।বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন।

করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন