প্রত্যয় ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ১১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাজ্য। করোনার সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনের পর এপ্রিল থেকে জুন মাসের অর্থনীতিতে এই মন্দা দেখা দেয়। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যানবিষয়ক দপ্তর (ওএনএস) জানিয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় পরের তিন মাসে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে গেছে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০০৯ সালের পর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে এতোটা পতন দেখা যায়নি।
করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে দেশটির দোকানপাট, কল-কারখানা ও নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমন অবস্থায় থমকে পড়ে দেশটির অর্থনীতি। ওএনএস জানিয়েছে, সেবা খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক পতন দেখা গেছে। তবে তারা বলছে, জুন মাসে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা সহজ হতে শুরু করার পর অর্থনীতি আবার সচল হয়ে উঠেছে। মে মাসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ৮ শতাংশ। আর জুন মাসে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানবিদ জোনাথন অ্যাথো বলেন, জুনে দোকানপাট খুলেছে, কলকারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে, আবাসন শিল্প আবারও সচল হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে অর্থনীতির চাকা আবারও ঘুরতে শুরু করেছে। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক বলেছেন, আমি আগেই বলেছিলাম, কঠিন সময় সামনে। ইতোমধ্যেই লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। আগামী মাসগুলোতে আরও অনেকেই চাকরি হারাবেন। তবে সামনে আরও কঠিন অবস্থা আসলেও আমরা এটি পার হয়ে যাব।