প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ২৬১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ১১৫ জনে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো জানতে পড়ুনঃ
ভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের ধ্বংসযজ্ঞে দিশেহারা আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রাজিলের মতো দেশ। বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার তাণ্ডব চলছেই। প্রতিনিয়ত অচেনা এই ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ।
করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩১ জনে।
করোনায় সংক্রমণের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সবচেয়ে বিপর্যস্ত এই দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৩০২ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৪ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।
অন্যদিকে রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসা ভারতে মোট ২৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯ লাখ ২ হাজার ৭০১ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় মোট করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৯১৯ জন।
ষষ্ঠ স্থানে থাকা মেক্সিকোয় মোট করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮০ জন।
৭ম স্থানে থাকা পেরুতে মোট করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮০ জন।
৮ম স্থানে থাকা কলম্বিয়ায় মোট করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৫১৯ জন।
৯ম স্থানে থাকা চিলিতে মোট করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৬৮ জন।
১০ম স্থানে থাকা স্পেনে মোট করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮৬৪ জন।
করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন