নিজস্ব প্রতিবেদক: উপকূলীয় জেলাগুলোয় জোয়ার স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে গত দু’দিন অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ভাঙ্গা পানিতে এখনো তলিয়ে আছে বহু গ্রাম। আজ সকালেও উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েন জোয়ারের পানিবন্দি মানুষ। বন্যা পূর্ভাবাস ও সতকীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী মাসে আরো একটি বন্যা হতে পারে।
গত দুই দিন উপকূলীয় জেলাগুলোতে যে অস্বাভাবিক উঁচু জোয়ার হয়েছে, রোববার তেমনটা আর দেখা যায়নি। স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটা রয়েছে নদী ও সাগর উপক‚লে। তবে বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ঢুকে পড়া জোয়ারের পানিতে এখনো তলিয়ে আছে অনেক এলাকা।
সাতক্ষীরার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসতি, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো তলিয়ে আছে। সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর চিংড়ির ঘের। তীব্র শ্রোত ও বৃষ্টির কারণে খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ক্ষতিগ্রস্ত এসব উপজেলার সড়ক, বাঁধ ও ঘরবাড়ি। বাগেরহাটে ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে এখনো ঢুকছে জোয়ারের পানি।
বরিশাল ও ভোলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। পানিতে তলিয়েছে বরগুনার তিন উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। ঝালকাঠিতে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বেড়ে অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, নষ্ট হয়েছে পাকা আউস ধান।
অমাবশ্যা শেষ হওয়ায় জোয়ারে প্রভাব তেমন একটা থাকবে না বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইয়া। তবে সেপ্টেম্বরে রয়েছে আরো একটি বন্যার পূর্বাভাস। জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বাঁধ মেরামতের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।