1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়তে হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুদান দিচ্ছে দুই সংস্থা

  • Update Time : সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০
  • ১৭৩ Time View

প্রত্যয় নিউজডেস্ক: ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে বিদ্যুতের পরীক্ষামূলক স্মার্ট গ্রিডসহ আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। এ জন্য ১ হাজার ২ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে দুটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। এ অর্থে ‘ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটি ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৬৯ কোটি ২ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (এএফডি) ঋণ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) অনুদান থেকে ১ হাজার ২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এটি বাস্তবায়নের ফলে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আসবেন ১ লাখ ১৫ হাজার গ্রাহক। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইআরডির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এএফডি ঋণ ও ইইউর অনুদানের বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। এখন প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে তারপরই ঋণচুক্তির বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু হবে।

প্রকল্পটি প্রক্রিয়া করেছে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগ। একনেকের জন্য তৈরি প্রকল্প-সারসংক্ষেপে কমিশনের মতামতে বিভাগটির সদস্য (সিচিব) প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী উল্লেখ করেছেন, প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হলে পাওয়ার সেক্টরের উন্নয়ন সাধন এবং বিদ্যুতের সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে। ফলে ডিপিডিসির আওতাধীন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা আরও মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। সভায় জানানো হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছয়টি নতুন সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া তিনটি বিদ্যমান সাব-স্টেশনের সংস্কার ও ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে টেকনিক্যাল লস হ্রাস পাবে। জুনে সমাপ্ত হওয়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে প্রকল্পটি সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে ডিপিডিসির আওতায় ৬০টি সাব-স্টেশন, ৪ লাখ ২৬ হাজার নতুন গ্রাহকেক সংযোগ এবং সিস্টেম লস ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে ওইসব লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রকল্পটির আওতায় ডিপিডিসির অধীন রাজধানীর জিগাতলা, লালমাটিয়া, আসাদ গেট, সাতমসজিদ রোড এবং গ্রিন রোডে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন পাইলটিং বেসিসে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম চালু করা হবে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সাব-স্টেশন এবং ফিডার লেভেলের ত্রুটি চিহ্নিত করা, আইসোলেশন অ্যান্ড সার্ভিস রেস্টোরেশন এবং অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক রিকনফিগারেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গ্রিড ব্যবস্থায় অটোমেটিক সার্কিট রিক্লোজার, রিং মেইন ইউনিট, অপটিক্যাল ফাইবার, লোড সুইচ ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে ফিডার অটোমেশনের ব্যবস্থা করা হবে। ফলে মিটার রিডিংসহ অনলাইনে ট্রান্সফরমারের কার্যক্রম মনিটর করা সম্ভব হবে। এ সংক্রান্ত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ও টেকনিক্যাল লস উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস সম্ভব হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..