প্রত্যয় নিউজডেস্ক: প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারকে যাচাই বাছাইয়ের জন্য প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকা হারিয়ে ফেলেছে দেশটি।
পরে আবার তালিকা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ মিয়ানমারের কাছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৩০২ জন রোহিঙ্গার তালিকা হস্তান্তর করা হয়। এই তালিকা ঢাকার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে দেওয়া হয়েছিল। মিয়ানমার এই ৫ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা প্লেনযোগে ইয়াঙ্গুন পাঠায়। মিয়ানমার প্লেনযোগে এই তালিকা ইয়াঙ্গুনে পাঠিয়েছিল, তা থাইল্যান্ড হয়ে ইয়াঙ্গুনে পৌঁছানোর কথা। তবে সেই তালিকা থাইল্যান্ড থেকে খোয়া যায়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মিয়ানমার বাংলাদেশকে জানায়, ৪ লাখ ৯২ হাজার ৩০২ জন রোহিঙ্গার তালিকা থাইল্যান্ড থেকে খোয়া গেছে। এরপর নতুন করে আবার তালিকা চায় মিয়ানমার।
মিয়ানমারের এই বার্তা পাওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আবার তালিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এই তালিকা এবার দেওয়া হয় মিয়ানমারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে।
সূত্র জানায়, ৫ দফায় প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম দফায় ৮ হাজার ৩২ জনের তালিকা হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২২ হাজার ৪৩২ জন, তৃতীয় দফায় ২৫ হাজার ৪৭ জন, চতুর্থ দফায় ৫০ হাজার ৫০৬ জন ও পঞ্চম দফায় ৪ লাখ ৯২ হাজার ৩০২ জন রোহিঙ্গার তালিকা হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্য থেকে যাচাই করে মাত্র ১০ হাজার ৩৪ জনকে ফেরত নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বহু রোহিঙ্গা। এরপর থেকে গত তিন বছরে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।