প্রত্যয় নিউজডেস্ক: নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর পৌর এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভয়ে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে রাজু (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একই এলাকার কিরন মিয়ার ছেলে এনামুল হক বাবলু (২০) গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তারা দু’জনই একাধিক মামলার আসামি এবং পুলিশ অ্যাস্লোট মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) রাতে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে শহরের মাইজদী বাজার সংলগ্ন আহমদ মঞ্জিলের চতুর্থতলা থেকে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে লাফ দিলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু নোয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর এলাকার মো. শরীফের ছেলে। আটকরা হলেন, একই এলাকার কাইয়ুম, বাবলু, শাকিল, আতাউর।
সুধারাম থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, কিছু দিন আগে মাইজদী শহরের পূর্ব চন্দ্রপুরের আহমদ মঞ্জিলের নিচতলা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আব্দুল কাইয়ুমের একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। ওই মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে বুধবার রাত ৯টার দিকে আতাউর রহমানকে (৩১) অপহরণ করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম (২৫) ও তার সহযোগীরা। পরে আহমদ মঞ্জিলের ৪র্থ তলায় এনে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে তার কাছ থেকে ৩০০ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
ওসি আরও জানান, আতাউরের স্বজনরা ৯৯৯ এ কল করে আতাউরকে আটক করে তার ঘরে লুটপাট করে বলে অভিযোগ করেন। পরে সুধারাম থানা ৯৯৯ নম্বর থেকে বিষয়টি অবহিত হয়ে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভয়ে রাজু ও বাবলু ভবনের পেছন দিয়ে পাইপ বেয়ে পালাতে গিয়ে নিচে পড়ে রাজু ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং বাবলু গুরুতর আহত হয়। এ সময় পুলিশ আহমদ মঞ্জিলের চারতলা থেকে অপহৃত আতাউরকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।