প্রত্যয় নিউজডেস্ক: শরীয়তপুর সদর উপজেলায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। ওই নারীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে তার স্বামী।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামে। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝাউচর গ্রামের মৃত সুরেন মন্ডলের ছেলে শংকর মন্ডল (৪৬) আড়াই বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার ভাঙারহাট এলাকার মেয়ে অপু মন্ডলকে (১৯) বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। হঠাৎ বিষপানে (ইদুরের ওষুধ) অপুর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ নিয়ে চলছে এলাকায় গুঞ্জন।
স্থানীয়রা জানান, ১৮ বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন শংকর। সেই স্ত্রীর নাম পলি মন্ডল। প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে মিতু মন্ডল (১৪), সুবর্ণা মন্ডল (১২)। সাত বছর আগে পলিও বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
শংকর মন্ডলের মেয়ের জামাই স্বপন বসাক বলেন, বৃহস্পতিবার আমার শ্বশুর (শংকর) সিলেট মাজার ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু শাশুড়ি (অপু) যেতে দেবেন না। তা নিয়েই ঝগড়া করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
আংগারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (ইনচার্জ) মন্টু মন্ডল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তারপরও এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে জেলার জাজিরা উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের বিকেনগর গ্রামের জামাল হাওলাদারের স্ত্রী সুমী বেগম (২৮) তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুর ২টার দিকে বাবার বাড়িতে বিষপান করেন তিনি।
সুমী বেগমের বোন সাহিনুর আক্তার মুঠোফোনে বলেন, আমার বোন সরল সোজা মানুষ। তার তিন সন্তান। সুমীর সঙ্গে আমার খাবার নিয়ে ঝগড়া বাঁধে। তাছাড়া মাঝে মাঝেই দুই বোন ঝগড়া করি। আজ বিকেলে হঠাৎ করে বিষপান করে সুমী। হাসপাতালে নিলে মারা যায়।