নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসির বিষ্ফোরণে মারা গেছে ১৮ জন। দগ্ধ হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। আর এই বিষ্ফোরণের জন্য এলাকাবাসী দায়ী করছেন মাসজিদের নিছে গ্যাসলাইনকে। মসজিদ কমিটি গত কয়েকমাসে তিতাস গ্যাসকে কয়েকবার করে বলছে গ্যাসলাইনের লিক ঠিক করে দিতে। আর তখন তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকেই ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়া হয়। আর সেই ঘুষের টাকা না পেয়ে মসজিদ কমিটির আবেদনে সাড়া দেয়নি তিতাস গ্যাস।
৯ মাস আগেই গ্যাস লাইন লিকেজ মেরামতের জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হলেও ৫০ হাজার টাকার জন্য কাজ করেনি তিতাস। এমনটাই অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম তাল্লা বায়তুল সালা জামে মসজিদ কমিটির। তবে তিতাসের এমডি বলেছেন, কেউ দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, কমিটি এই বিষয়ে তদন্ত করবে।যদি কেউ বিষয়ে গাফিলতি করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লাইনের লিকেজ থেকেই গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয় নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বাইতুল সালাহ জামে মসজিদটি। শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময় বিকট শব্দে মসজিদের পর পর ছয়টি এসিই বিষ্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। দগ্ধ হন মসজিদের অর্ধ শতাধিক মুসল্লী। বিস্ফোরণে মসজিদের সবগুলো জানালার কাচ উড়ে যায়। দগ্ধ মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বাইরে ছুটে এসে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে গড়াগড়ি খেতে শুরু করে। শনিবার সকালে মসজিদ পরিদর্শনে যান তিতাসের এমডি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। গ্যাস লিকেজের লাইন ঠিক করতে ৯ মাস আগে তিতাসকে জানানো হলেও ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেয়ার কারণে কাজ হয়নি বলে দাবি মসজিদ কমিটির সভাপতির।
নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম তল্লা বাইতুল সালাহ জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল গফুর মেম্বার বলেন, যখন থেকেই গ্যাস লাইন লিকেজ হতে থাকে এটি মেরামত করার জন্য আমরা সাথে সাথেই কিন্তু তিতাসকে জানিয়েছি। তখন তারা আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাইছিল, আমরা টাকাটা যোগাড় করতে পারি নাই বলে সেটি আর মেরামত করা হয়নি।
এদিকে, গ্যাস লিকেজ ধরেই তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব নূর হাসান। তিনি বলেন, আমরা আলামত সংগ্রহ করছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। গ্যাস লিকেজ এবং বিদ্যুৎ এর বিষয় মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।