আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চলতি ইরিবোরা ধান চাল সংগ্রহ অভিযান লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সরকারি দামের চেয়ে বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি পাওয়ায় মিলার ও কৃষকরা সরকারি গুদামে চাল ধান সরবরাহ করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে এবার ইরিবোরো ধান ও চাল ক্রয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে।
আদমদীঘি খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সুত্রে জানাযায়, চলতি ইরিবোরো মৌসুমে আদমদীঘি উপজেলায় সরকারি ভাবে একটি সিএসডি ও ৩টি এলএসডি খাদ্যগুদাম মিলে এবার ধান ২২৬৩ মেট্রিক টন ও চাল ১০৬৪৯ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত ৩১ আগষ্ট তারিখ পর্যন্ত উপজেলার ৪টি খাদ্যগুদামে চাল সংগৃহিত হয়েছে ৫.৭১২.৯৯০ মেট্রিক টন। অবশিষ্ঠ ৪৯৩৬.০১ মেট্রিক টন চাল এখনও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে সান্তাহার সিএসডি খাদ্যগুদামে চাল সংগ্রহ ১৩০২.১৮০ মেট্রিক টন, সান্তাহার এলএসডি খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ২৮১.৮৫০ মেট্রিক টন, আদমদীঘি সদরে ৫৪২.৭৩০ মেট্রিক টন ও নসরতপুর এলএসডিতে চাল সংগৃহিত হয় ১৮৭৬.২৩০ মেট্রিক টন। এ ছাড়া উপজেলায় ইরিবোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র ছিল ২২৬৩ মেট্রিক টন। সংগ্রহিত হয় মাত্র ১৩২৮ মেট্রিক টন। সরকারি দামের চেয়ে বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি হওয়ায় মিলাররা চাল সরবরাহে অনেকটাই আগ্রহ হারাচ্ছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিতোষ কুন্ডু জানান, বাজারে ধান ও চালের মূল্য বেশি থাকার কারনে সরকারি গুদামে মিলারগন চাল ও কৃষকরা ধান সরবরাহ করতে অনেকটাই আগ্রহ হারিয়েছেন। ফলে ইরিবোরো ধান ও চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হযনি। সরকারি ভাবে সংগ্রহের সময় ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।