প্রত্যয় নিউজডেস্ক: চলতি মাসের শেষের দিকে বহুল প্রত্যাশিত ষষ্ঠ বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এক টুইটে জানিয়েছেন, জেসিসির বৈঠক খুব শিগগিরই করতে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশই সম্মত হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপের পর জয়শঙ্কর এই টুইটটি করেন।
তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে উষ্ণ আলাপ হয়েছে। তিনি খুব শিগগিরই আমাদের যৌথ পরামর্শ কমিশনের বৈঠক করতে সম্মত হয়েছেন। আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দের নির্ধারিত উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাব।’
বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, উভয় নেতা আসন্ন জেসিসি বৈঠকের বিভিন্ন দিক এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষিতে বৈঠকটি ভার্চুয়াল ফর্মে অনুষ্ঠিত হবে কিনা এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এখন পর্যন্ত বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সে করারই সিদ্ধান্ত রয়েছে।
তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফর করতে পারেন এমন চিন্তাও আছে। করোনার কারণে ভারতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এস জয়শঙ্কর।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লিতে কমিশনের পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ জেসিসির ষষ্ঠ বৈঠক আয়োজন করবে। পঞ্চম বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং তার তৎকালীন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
সূত্রগুলো অবশ্য জানিয়েছে, শনিবার অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ নৌপথের ট্র্রায়াল রান নিয়েও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়ের কথোপকথনের সময় আলোচনা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, সোমবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টেলিফোন আলাপের সময় আমরা ভার্চুয়াল ফর্মে যৌথ পরামর্শক কমিশনের ষষ্ঠ বৈঠক করার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হই। এটি চলতি মাসের মধ্যে খুব শিগগির অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ জেসিসির বৈঠকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান বহুমুখী সহযোগিতা আরও জোরদারে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলোতে ১৮০০ বাংলাদেশি সরকারি কর্মচারীর প্রশিক্ষণ, আয়ুষ ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ঔষধি গাছপালা বিষয়ে সহযোগিতা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুররি (সিবিআই) মধ্যে সহযোগিতা এবং মোংলায় ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে হীরানন্দিনী গ্রুপ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা।