নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আমার ছেলে আর ফিরবে না। তবে কাউকে যেন সন্তান হারাতে না হয়। কাউকে এভাবে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মেরে ফেলা না হয়। এ রায় হওয়ায় অনেকে এখন এ ধরনের কাজ করতে ভয় পাবে।’ রায় ঘোষণার পর এভাবেই স্বস্তি প্রকাশ করেন পুলিশ হেফাজতে নিহত গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনির মা খুরশিদা বেগম। ঘোষিত রায়ে সন্তোষ ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে জনির পরিবার। সেসঙ্গে উচ্চ আদালতেও যেন রায় বহাল থাকে এ দাবি জনির পরিবারের।
বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন এবং পুলিশের দুই সোর্সকে সাত বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন। নিহত জনির ভাই এবং মামলার বাদী ইমতিয়াজ হোসেন রকি বলেছেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করেছিলাম, এসআই জাহিদ যেন জেল থেকে বের হতে না পারে। সে আশা পূরণ হয়েছে। আমরা সবাই আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এ আইন প্রণয়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ। এ রায় যেন উচ্চ আদালতে বহাল থাকে, এ আশা করছি। নিহত জনির দুই ছেলেমেয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেছেন খুরশিদা বেগম।
মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, এ আইনে যে সাজা ছিল, তার সর্বোচ্চটা পেয়েছি। হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনের ড্রাফটিংয়ে আমরা ছিলাম। সেখানে মৃত্যুদন্ড ছিল। পরে আইনটা যখন পাস হয় তখন মৃত্যুদন্ড সরিয়ে দেওয়া হয়। আপনারা দেখবেন, প্রতিবছর পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয় আইনটা উঠিয়ে দেওয়ার। আমরা চাই, আইনে মৃত্যুদন্ডটা আসুক।