1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

অস্থির পেঁয়াজের বাজার

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৮৫ Time View

প্রত্যয় নিউজডেস্ক: ভারতের রফতানি বন্ধ করার সংবাদে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। একদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হয়ে গেছে।

কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত গতকাল হুট করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এরপর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের এমন দাম বাড়ল।

গত বছরও সেপ্টেম্বর মাসে কোনো ঘোষণা ছাড়াই ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে হু হু করে দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ৩০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে।

এবারও সেই সেপ্টেম্বরেই ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিল। এতে পেঁয়াজের দাম আবারও অস্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে- এমন আশঙ্কায় কেউ কেউ বাড়তি পেঁয়াজ কেনা শুরু করে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। অথচ গতকাল দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করেই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। গতকাল পাইকারিতে যে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা ছিল তা আজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা হয়ে গেছে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়া বৌ-বাজারের ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গতকাল দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করেছি ৬০ টাকা। আজ পাইকারিতে দাম ৮০ টাকা। যে কারণে ৯০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি যা তাতে মনে হচ্ছে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ গতকাল ভারত রফতানি বন্ধ করার পর আজ পেঁয়াজ কেনার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ অবস্থা চললে বাজারে পেঁয়াজের এক ধরনের কৃত্রিম সংকট দেখা দিতে পারে। এতে আবারও গত বছরের মতো অবস্থা হবে কিনা বলা মুশকিল।

একই বাজারে ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা মো. সোহেল বলেন, আজ ১০০ টাকা কেজি কিনতে পারছেন। আগামীকাল দেখবেন ১৫০ টাকা কেজি কিনে খেতে হবে। আজ বিকেলেই দাম আরও বেড়ে যায় কিনা দেখেন। ইতোমধ্যে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের ক্রেতা বেড়ে গেছে।

এদিকে রামপুরায় ভ্যানে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা বিক্রি করছিলেন জয়নাল মিয়া। দুই মিনিটের মধ্যে তার সব পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে যায়। এ বিষয়ে জয়নাল বলেন, আমার পেঁয়াজ গতকাল কেনা। কিছুটা লাভে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি।

তিনি বলেন, একজন এসে পেঁয়াজের দাম জানতে চাইলেন। আমি ৮০ টাকা বলতেই, তিনি পাঁচ কেজি পেঁয়াজ দিতে বলেন। এরপর কয়েকজন এসে সব পেঁয়াজ কিনে নিলেন। এমন হুড়াহুড়ি করে পেঁয়াজ আমি আগে কখনো বিক্রি করিনি। কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে ফেললাম কিনা জানি না।

এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ১০০ টাকা। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। একই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে খিলগাঁও তালতলা বাজারে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. হিরু বলেন, গতকাল ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় আজ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার ওপরে। বাড়তি দামে কেনার কারণে আমাদের বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে পেঁয়াজ কিনে কেউ রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে অনেকেই তার কাছে জানতে চাচ্ছেন, পেঁয়াজ কত করে নিল ভাই? রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও প্রতিটি অঞ্চলেই জাগো নিউজের প্রতিবেদক এমন দৃশ্য দেখেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে পড়া মালিবাগের বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, বাজার থেকে ১০০ টাকা কেজিতে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। পাঁচ মিনিট হাঁটলেই বাসা। বাজার থেকে পেঁয়াজ হাতে বের হতেই অন্তত পাঁচজন পেঁয়াজের দাম জানতে চেয়েছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে পেঁয়াজ নিয়ে সবার মধ্যেই এক ধরনের আতঙ্ক রয়েছে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে শ্যামবাজারের আজমেরী ভান্ডারের সোহেলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কী ঘটেছিল গত বছর

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত রফতানি বন্ধ করলে দেশের বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। এরপর পেঁয়াজের দাম কমাতে নানামুখী প্রচেষ্টা চালায় সরকার। মিয়ানমার, মিশর থেকে আমদানি করা হয় পেঁয়াজ। এতে কিছুটা দাম কমে। তারপরও পেঁয়াজের ঝাঁজ ছিল বেশ চড়া। একশ টাকার নিচে পেঁয়াজ মিলছিল না।

ফলে বাধ্য হয়ে বাড়তি দাম পেঁয়াজ কিনে খেতে হয় ক্রেতাদের। কম দামে নিম্ন আয়ের মানুষকে পেঁয়াজ দিতে ট্রাকে বিক্রি শুরু করে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবির পেঁয়াজ কেনা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

এর মধ্যে গত বছরের নভেম্বর থেকে বাজারে আসতে শুরু করে নতুন দেশি পেঁয়াজ। যার প্রভাবে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলতে থাকে। ডিসেম্বরেই নতুন পেঁয়াজের কেজি একশ টাকার নিচে নামে যায়। এরপর চলতি বছরের মার্চের শুরুতে রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। যার প্রভাবে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে কেজি ৪০ টাকায় নামে।

কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে মার্চের শেষ দিকে পেঁয়াজের দাম আবার কিছুটা বাড়ে। দাম বাড়ায় বাড়তি পেঁয়াজ কেনা শুরু করেন ক্রেতরা। এতে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকায় ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে ভোক্তা অধিদফতর ও র্যাব। পেঁয়াজের বাজারে চলে একের পর এক অভিযান।

এর মধ্যেই বাজারে বাড়তে থাকে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ। সঙ্গে আসতে থাকে ভারতের পেঁয়াজ। এতে আবারও দফায় দফায় দাম কমে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকায় নেমে আসে। তবে ঈদের আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় উঠে। গত মাসেও আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ছিল। আর দেশি পেঁয়াজ ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..