প্রত্যয় নিউজডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণে উচ্চ ঝুঁকি থাকায় ভারত, রাশিয়া, ইরানসহ বিশ্বের ৬০টি দেশের নাগরিকদের সাময়িক দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৩০ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. অ্যারণ মোটসোলাড়ি এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে সাধারণ নাগরিকদের আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস স্বাভাবিক হয়ে আসলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিবেচনা করব’।
যেসব দেশের সাধারণ নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা- আলবেনিয়া, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্রী
ডেনমার্ক, ইকুয়েডর, ফ্রান্স, জর্জিয়া, গ্রিস, গুয়াতেমালা, গিয়ানা, হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ভারত, ইরান, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, ইস্রায়েল, জামাইকা, জর্দান, কুয়েত, লেবানন, লুক্সেমবার্গ মালদ্বীপ, মাল্টা, মেক্সিকো, মোল্দাভিয়া, মন্টিনিগ্রো, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে- ওমান, প্যালেস্টাইন, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, পর্তুগাল, পুয়ের্তো রিকো, কাতার, রোমানিয়া, রাশিয়া, স্লোভাকিয়া, সুরিনাম, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা ও ভেনিজুয়েলা।
তবে এসব দেশ থেকে শুধুমাত্র কূটনীতিক, বিনিয়োগকারী এবং পেশাদার ক্রীড়াদল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসাদের গ্রহণ করা হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী নেলাড়ি পানডোর সতর্ক করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে। সকল ধরনের মিডিয়াম এবং লো রিস্কের দেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করার সময় পিসির (পলিমারোজ চেইন প্রক্রিয়া) কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে থাকতে হবে যা ভ্রমণকারী ভ্রমণের সময় থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসতে হবে।
তিনি বলেন, ভ্রমণকারীর অবশ্যই ট্রাভেল ইন্সুরেন্স বা হোটেল বুকিং থাকতে হবে। কোনো ভ্রমণকারী এয়ারপোর্টে আসার পর আবার পুনরায় তাকে পরীক্ষা করা হবে এই সময় কোনো যাত্রীর মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেলে তাকে নিজ খরচে দশদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।