ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নি হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতে তার মেজো বোনের প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধে তাকে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ইতিমধ্যে শুক্রবার রাতে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত জামিরুল পালাতক রয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে তারা। একইসাথে বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। মানববন্ধনে ইবি ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তারা ও এলাকাবাসীরা একাত্মতা পোষণ করেন।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘পত্রিকার পাতা খুললেই মনে হয় ধর্ষণ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আজ আমাদের তিন্নির সাথে এমন হবে ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। এ যন্ত্রনা এত কঠিন আগে বুঝিনি। তিন্নি দেশ সেবার ব্রত নিয়ে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিল।’
বক্তারা বলেন, ‘আমরা এক মহাসংকটে ও মর্মান্তিক বিষয় নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমাদের সবার ঘরেই মা-বোন আছে। আমার পরিবার নিরাপদ তো? মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্যের পরিবার যদি এভাবে লাঞ্ছিত হয়ে মৃতুবরণ করে। যেদেশে নারী ক্ষমতায়নের কথা শুনি, সেদেশে আমার বোন নিরাপদ নয় কেন? এটা জাতির জন্য কলঙ্ক। তিন্নির সাবেক দুলাভাই সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নরকীয়ভাবে তিন্নিকে হত্যা করেছে।’
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিন্নির শয়ন কক্ষ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে শৈলকূপা থানা পুলিশ। তার বাড়ি ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে। গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্য ইউসুফ আলীর মেয়ে তিনি।
এ ঘটনায় ৮ জন আসামীর মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে নিহত তিন্নীর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামী জামিরুলসহ ৪ জন্য পতালক রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।