1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

যুবলীগ নেতাকে চোখ বেঁধে নির্যাতন

  • Update Time : বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৬২ Time View

প্রত্যয় নিউজডেস্ক: ফরিদপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে যুবলীগের এক নেতাকে চোখ বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনায় দুই ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার যুবলীগ নেতা শেখ আরাফাত হোসেন (৩৬)।

আদালতের বিচারিক হাকিম মো. ফারুক হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ফরিদপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ৭ জানুয়ারি।

শেখ আরাফাত হোসেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের শেখ মোশাররফ হোসনের ছেলে। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

যে সাত পুলিশ সদস্যকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, ফরিদপুর ডিবি পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুজ্জামান আহাদ (৫৫), ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান (৪৯), ভাঙ্গা থানার চার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবাদুল হক মোল্লা (৩৫), আনিসুর রহমান (৪০), শামসুল হক সুমন (৩৮) ও রেজওয়ান মামুন (৩০) এবং গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শাহীন।

এজাহারে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউলিবেড়া বাজার এলাকা থেকে পাঁচ/ছয়জন পুলিশ সদস্য একটি সাদা রঙের মাইেক্রোবাসে করে এসে বিনা গ্রেফতারি পরোয়ানায় শেখ আরাফাত হোসেনকে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে নেন। গাড়িতে ওঠানোর পর পুলিশ সদস্যরা তাকে মারপিট করতে থাকেন এবং তাকে নিক্সন চৌধুরীর (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র দলীয় সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী) রাজনীতি করার কথা বলেন। তা না হলে তাকে ক্রসফায়ারের হুমকি প্রদান করা হয়।

পরে পুখুরিয়া এসে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। ডিবির গাড়িতে তুলে দিয়ে এসআই এবাদুল ভাঙ্গা থানার ওসিকে মুঠোফোনে বলেন,‘স্যার আরাফাতকে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আহাদুজ্জামানের হাতে বুঝাইয়া দিয়েছি।’

এজাহারে আরও বলা হয়, পরে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় গোয়েন্দা পুলিশের দফতরে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ১১টার দিকে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। ওই রাতে কয়েক দফা তাকে পেটানো হয়। জীবন রক্ষার জন্য তিনি হাতজোড় করে মিনতি করলে ওসি (ডিবি) বলেন, ‘আমি তোগের লোক না। আমি নিক্সন চৌধুরীর লোক।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো.কামাল উদ্দিন বলেন, আদালত আরাফাতের দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ মামলার পরবর্তি দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৭ জানুয়ারি।

প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর ডিবি কার্যালয়ে নির্যাতনের একটি ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডিতে আপলোড করেন আরাফাত। এ ঘটনার পর বিষয়টি সারাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।

এ ঘটনার পরপরই ফরিদপুর ডিবি পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুজ্জামানকে সদরপুরের চন্দ্রপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ থেকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তবে বর্তমানে আহাদুজ্জামান রাজবাড়ী বদলী হয়েছেন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, আদালত এ বিষয়টি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। পিবিআই তাদের মতো করে তদন্ত করবে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি আমরাও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..