দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এমএ আজাদ সজলের মরদেহ নগরীর মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করে এর তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি দুর্ঘটনা হতে পারে। আর পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত শেষে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জহিরুল হক মানিক জানান, মঙ্গলবার সেহেরির সময় ঢাকা থেকে ডা. আজাদের স্ত্রী ফোনে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় মমতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ডাক্তারের রুমে তালা দেয়া দেখে পুলিশে খবর দেয়। সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে ওই কক্ষের তালা ভাঙা হয়। এরপর খোঁজাখুঁজি চলতে থাকে দশ তলা হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে।
একপর্যায়ে হাসপাতালের এক কর্মী নিচতলায় লিফটের নিচে ডাক্তারের মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ সুরতহাল করে দুপুরে মরদেহ ময়নাতন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
তবে এ মৃত্যু দুর্ঘটনা বলে দাবি করছে মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জহিরুল হক মানিক।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, ডা. আজাদ খুব ভালো মানুষ ছিলেন এবং তার কোন শত্রু আছে বলে জানা নেই শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালকের।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোকতার হোসেন জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিষয়টি দেখাশুনা করছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বিষয়টি হত্যা, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা এ বিষয়ে সরাসরি জানাননি এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জহিরুল হক মানিক জানান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আজাদের পরিবার ঢাকায় বসবাস করেন। এ কারণে প্রায় বছর খানেক তিনি নগরীর কালিবাড়ি রোডের মমতা হাসপাতালের সাত তলার একটি কক্ষে বসবাস করতেন। দুই সন্তানসহ তার স্ত্রী ঢাকায় বসবাস করেন।
দৈনিক প্রত্যয়/ জাহিরুল মিলন