প্রত্যয় বিনোদন ডেস্ক: সিনেমা, নাটক ও ভিডিও চিত্রের কপি রাইট সুরক্ষা, অর্থ সংগ্রহসহ নানা অধিকার নিশ্চিতের সংস্থা, লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ-এর কার্যক্রম নিয়ে বিস্তর বিতর্ক ও অভিযোগ উঠেছে। নিবন্ধিত এই সংস্থার করা প্রশ্নবিদ্ধ মামলায় জেলও খেটেছেন কেউ কেউ। যাদের স্বার্থে এই সংস্থা, সেই প্রযোজকরাও বাদ যাননি মামলার ভোগান্তি থেকে। ওলোরা আফ্রিন এসবের দায় নিতে নারাজ।
মাহাদি সুলতানের বয়স ২৪। স্বপ্ন চলচ্চিত্রে গান গাইবেন। তাই মৌলভীবাজার থেকে এসেছেন রাজধানী ঢাকায়। স্বপ্ন এখনও অধরা, তবে বিভিন্ন প্রডাকশন হাউজের হয়ে কিছু মিউজিক ভিডিও করেছেন। এই কাজের মাধ্যমে বছর খানেক আগে ওলোরা আফ্রিনের সাথে মাহাদির পরিচয় ঘটে। মিউজিক ভিডিও বানানোর মৌখিক চুক্তি হয়। একটি ভিডিও ক্লিপের কারনে মনিটাইজেশন না আসায় মাহাদি সুলতানকে ফোনে হুমকি দেন ওলোরা।
ভিন্ন ঘটনায় প্রখ্যাত গীতিকার মনিরুজ্জামান মুনিরের কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়ে ওলোরা আফ্রিন অনলাইনে কনটেন্ট সুরক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, কায়নেটিক নেটওয়ার্কের পেছনে লাগেন। গুলশান থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে জালিয়াতির মামলা করেন ওলোরা। এ বছর ঈদের আগের দিন পুলিশ ধরে নিয়ে যায় কায়নেটিক নেটওয়ার্কের কর্মকর্তা জামসেদ চৌধুরীকে।
এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল, কায়নেটিক নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ওলোরার সংস্থার অনৈতিকভাবে টাকা দাবি ও তা দিতে প্রত্যাখ্যান করার ঘটনা। প্রমাণ হিসেবে একটি ই-মেইল দেখিয়ে জানান হয়রানির শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ওলোরার সাথে চুক্তি বাতিল করেন গীতিকার মনিরুজ্জামান মুনির। কপিরাইট রেজিস্টার ওলোরার মামলা ও টাকা দাবির ব্যাপারে সমালোচনামুখর।
চলচ্চিত্র জগতের সাথে যুক্ত না হয়েও এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থার সরকারি অনুমোদন নিয়ে বিতর্কিত কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে ওলরা আফ্রিনের সংস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রশ্ন ও কিভাবে বিতর্ক দানা বাধছে সংশ্লিষ্ট জগতে।